ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারপ্রাপ্ত দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
ভারপ্রাপ্ত দিয়ে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি  

ময়মনসিংহ: উত্তম চক্রবর্তী রকেটকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও তানজীর আহম্মেদ রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক বহাল রেখে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।  

তবে নবগঠিত এ কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিগত কমিটিতে দায়িত্বশীল পদে থাকা বেশির ভাগ পুরোনো নেতার।

 

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন বাচ্চু এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর যৌথ স্বাক্ষরে এ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে পদ পাওয়া নেতাদের মধ্যে খুশির আমেজ দেখা গেলেও ক্ষোভ বিরাজ করছে পদবঞ্চিত পুরোনো নেতাকর্মীদের মধ্যে।

সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৮ জুলাই সম্মেলন ছাড়াই হঠাৎ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নূরুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম চক্রকর্তী রকেটের কমিটি ভেঙে দুই সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। এতে নাজমুল হক মণ্ডলকে সভাপতি এবং তানজীর আহম্মেদ রাজীবকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল দুই সদস্যের ওই কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে উত্তম চক্রবর্তী রকেট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হিমেল এবং দপ্তর সম্পাদক পদে প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাঈমুল হাসানকে যুক্ত করে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এরই মাঝে ২০২৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক মণ্ডলকে একটি চেক ডিজঅনার মামলায় এক বছরের সাজা দেন আদালত। নাজমুল হককে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর অব্যাহতি দিয়ে কমিটির সহ-সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেটকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর টানা নয় মাস পর গঠিত হলো ১০১ সদস্য বিশিষ্ট এ পূর্ণাঙ্গ কমিটি।

সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, নাজমুল-রাজীব কমিটি গঠনের পর ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ওই সময় পদবঞ্চিতরা পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন। কিন্তু তাদের এ আন্দোলন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের টনক নড়াতে পারেনি।

এদিকে সদ্য ঘোষিত কমিটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই বারের সাবেক সভাপতি এবং এক বারের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করা অ্যাডভোকেট নূরুজ্জামান খোকন।  

তিনি বলেন, পরিবারতন্ত্রের মাধ্যমে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে আগের কমিটির বেশির ভাগ নেতাদের বাদ দিয়ে আত্মীয়করণের মাধ্যমে পছন্দের লোকদের পদে আনা হয়েছে। এতে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমি এ পকেট কমিটি গঠনের নিন্দা জানাই।

একই ধরনের মন্তব্য করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা। তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি থেকে এসে আমার মতো আরও অনেকেই বহু ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শক্তিশালী সংগঠনে রূপ দিয়েছে। কিন্তু এখন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু তার নিজের লোকদের দিয়ে এ পকেট কমিটি গঠন করেছে। এ কমিটিতে আমার মতো বেশির ভাগ নেতাকর্মীর ঠাঁই হয়নি। পছন্দের লোকদের দিয়ে পকেট কমিটি করে সংগঠনকে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী রকেট। তিনি বলেন, সংগঠনে যারা নিবেদিত, তাদের নিয়েই কমিটি করা হয়েছে। তবে বিগত কমিটির অনেকেই মাঝ সময়ে সংগঠনের কাজে অনুপস্থিত থাকতেন। ফলে নিষ্ক্রিয় কাউকে কমিটিতে রাখার সুযোগ নেই। তাছাড়া চাইলেও সবাইকে কমিটিতে রাখার সুযোগ হয় না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।