ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেলেও পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই’

ঢাকা: ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারী-ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র থেমে নেই বলে উল্লেখ করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।

শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের উদ্যোগে আয়োজিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৪ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের।

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ বলেছন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশের সামগ্রিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলেছে। জনগণের অধিকার হরণ করেছে। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে দলীয় ছাত্র সংগঠনের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছে। ক্যাম্পাসগুলোতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা এবং পার্বত্য অঞ্চলে অস্থিরতা দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। দেশের সব সেক্টরে স্থিতিশীলতার পরিবেশ রক্ষায় দেশপ্রেমিক ছাত্র-জনতাকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কোনোভাবেই আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে সব হত্যা-খুনের বিচার কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে হবে। দেশের বাইরে বসে খুনি হাসিনা দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে বিচার কার্যক্রম শুরু করতে হবে। পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সক্রিয় করতে হবে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে একটি নির্বাচন আয়োজন করবে আমরা প্রত্যাশা করছি। দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল এক্ষেত্রে সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তরুণদের দায়িত্ব অনেক বেশি। শিক্ষার্থীরা জাতির আগামীর কর্ণধার। তারা যদি সঠিক নেতৃত্বে এগিয়ে আসে তাহলে দেশের পরিবর্তন নিশ্চিত হবে। আমাদের সংগ্রাম হচ্ছে যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেখানে ছাত্রদের দায়িত্ব হলো ন্যায় ও সততার পতাকা উঁচু করে রাখা।

কেন্দ্রীয় সভাপতি বিলাল আহমদ চৌধুরী সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের পরিবর্তন তরুণদের হাতে। শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের সময়, জ্ঞান ও যোগ্যতা দেশের কল্যাণে ব্যয় করা। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। এ পরিবর্তনে ছাত্রসমাজই জাতিকে পথ দেখাতে পারে।

সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ রায়হান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ক্যাম্পাস প্রতিনিধি সম্মেলনে জাতীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, এবিএম সিরাজুল মামুন, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল ও অধ্যাপক আবদুল জলিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৪
আরকেআর/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।