ঢাকা, সোমবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দিবসভিত্তিক কর্মসূচিতে কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা আ.লীগের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২৪
দিবসভিত্তিক কর্মসূচিতে কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা আ.লীগের

ঢাকা: বিভিন্ন দিবসকে কেন্দ্র করে কিছু কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে দলের কর্মীদের সক্রিয় রাখতে চায় আওয়ামী লীগ। এ দিবসগুলোতে ঘরোয়া বা ব্যক্তি উদ্যোগেও কিছু কর্মসূচি পালন করতে পারলে কর্মীদের মনোবল কিছুটা হলেও চাঙ্গা থাকবে।

এতে দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৮তম জন্মদিন। দলের সভাপতির জন্মদিন উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়। দুই দিন আগে আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে সারা দেশের নেতাকর্মীর প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছিল।

দলের সভাপতি শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে ওই দিন দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রনেতারা অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করেন। রাজধানীতে আরও দুই একটি স্থানে ঘরোয়াভাবে এ ধরনের কর্মসূচি আয়োজনের তথ্য জানা যায়। এছাড়া সারা দেশে বিভিন্ন স্থানে শেখ হাসিনার জন্মদিনের কর্মসূচি আয়োজনের খবর পাওয়া যায়। আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে বেশ কিছু স্থানে জন্মদিন উদযাপনের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করা হয়। এর মধ্যে খুলনা, জামালপুর, শরীয়তপুরের নড়িয়া, যশোর, ডেমরা, চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকায়, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া, হোসেনপুর, ঢাকার যাত্রবাড়ীসহ বেশ কিছু স্থানের তথ্য দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এসব কর্মসূচি আয়োজন করে। এর মধ্যে খাদ্য বিতরণ, কেক কাটা, দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এর আগে গত ১৫ আগস্ট শোক দিবস পালনেরও অনুরূপ আহ্বান জানানো হয়েছিল। তখন ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কিছু নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এদিকে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের এদিনে কারাগারের মধ্যে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়। এর পর রয়েছে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এ দিবসগুলোতে শহীদদের স্মরণে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানানো হবে। যার যার অবস্থান থেকে নেতাকর্মী, সমর্থকরা যে যতটুকু এবং যেভাবে পারে শহীদদের স্মরণের চেষ্টা করা হবে বলে আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে। তবে এ দিবসগুলোতে ঝুঁকি নিয়ে বা কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে যাতে কর্মীরা বিপদগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলেও ওই সূত্রগুলো জানায়।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ওই দিনই দেশ ছাড়েন। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান। এর মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের নেতারাও কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন। এছাড়া বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যেও অনেকে দেশের বাইরে চলে গেছেন। দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকশ’ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও এমপিদের অনেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে। কর্মী পর্যায়েও অনেককে আটক করা হয়। গত ৫ আগস্টের পর দুই একটি স্থান ছাড়া কোথাও রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। এখন পর্যন্ত সেই পরিস্থিতি অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০২৪
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।