ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে সমর্থন করে না সিপিবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২৪
কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে সমর্থন করে না সিপিবি

ঢাকা: কোনো বিষয়ে দায়মুক্তি দেওয়াকে সমর্থন করে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। শনিবার (৯ নভেম্বর) সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে আমরা জানতে পারলাম, অন্তর্বর্তী সরকারের ‘সব কাজ বৈধ’, মেয়াদ অনির্দিষ্ট রেখে অধ্যাদেশ জারির প্রচেষ্টা চলানো হচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং নিন্দনীয়। আমরা সরকারের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে চাই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো বিষয় দায়মুক্তি দেওয়াকে আমরা সমর্থন করি না। যেকোনো দায়মুক্তির ঘটনা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথে প্রতিবন্ধকতাই তৈরি করে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম লক্ষ্য হলো পূর্ণ গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথকে মসৃণ করা। এ কাজটিকে প্রাধান্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

বিবৃতিতে এ বিষয়টি পরিষ্কার করতে এবং এ ধরনের কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করার আগে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর পরামর্শ নেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে সব ধরনের দায়মুক্তি আইন প্রণয়নের পথ থেকে সরে আসার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিবৃতিতে শিল্পকলা একাডেমিতে তথাকথিত ‘মব’ এর কাছে নতি স্বীকার করে নাটক বন্ধ করে দেওয়া ও নাট্যজনদের প্রতিবাদ সভায় হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত এবং শাস্তির দাবি জানান হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করা, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা বন্ধ করা, কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না। এসবের বিরুদ্ধেই সচেতন দেশবাসীকে রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিবৃতিতে বিদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণের ঘটনায় নিন্দা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের কোথাও কোথাও, এমনকি কোর্ট কাচারিতে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ও সুযোগ বুঝে কাউকে কাউকে হেনস্তা করা করা হচ্ছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব ঘটনা চলমান গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে ব্যাহত করবে। পতিত স্বৈরাচার, দেশি-বিদেশি নানা অপশক্তিকে অপতৎপরতার সুযোগ করে দেবে।

বিবৃতিতে দেশের সর্বত্র শ্রমজীবীদের কাজের পরিবেশ নিশ্চিত, নির্যাতন বন্ধ এবং ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘুদের সব ধরনের নিরাপত্তায় যথাযথ ভূমিকা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়। জনস্বার্থ রক্ষায় যেকোনো অপতৎপরতা বন্ধে কঠোর অবস্থান নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২৪
আরকেআর/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।