ঢাকা: জাতির সংকট-সংগ্রামে জাতীয় ঐক্যই আমাদের পথ দেখাবে বলে জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
জোনায়েদ সাকি বলেন, মওলানা ভাসানী জনগণের গণঅভ্যুত্থানকেই সব সময় জনগণের দাবি আদায়ের পথ হিসেবে দেখেছেন। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান তাই একদিকে যেমন মওলানা ভাসানীর দেখানো পথের অনুসারী তেমনি অভ্যুত্থান পরবর্তী পথ নির্ধারণেও শ্রমিক-কৃষক-মেহনতী মানুষের ধর্ম-শ্রেণি-বর্ণ-লিঙ্গ জাতি নির্বিশেষে সবার রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক অধিকার ও সাম্য প্রতিষ্ঠার পথেই এগোতে হবে। প্রতিষ্ঠা করতে হবে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সমাবেশে দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, মওলানা ভাসানী, আসামসহ এ উপমহাদেশের রাজনীতিতে অবিসংবাদিত নেতা। তিনি এ অঞ্চলের মজলুম বিশেষত কৃষকদের রাজনীতির মূলধারায় নিয়ে এসে উপমহাদেশের রাজনীতিতে গণমুখী ধারাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনের শুরু, এরপর তিনি বাংলা ও আসামের কৃষক আন্দোলন, পাকিস্তান আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, স্বাধীন দেশে লুণ্ঠন, চোরাকারবারির বিরুদ্ধে, দুর্ভিক্ষাবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলন, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও প্রাণ প্রকৃতি রক্ষায় ফারাক্কা মার্চের নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে সমস্ত পর্বেই রাজনৈতিক সংগ্রামের গতিমুখ নির্ধারণ করতে ভূমিকা রেখেছেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমি, মনির উদ্দীন পাপ্পু এবং সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ফাল্গুনী সরকার, জুলহাসনাইন বাবু, মুরাদ মোর্শেদ, দীপক রায়, দীপক রায়, তরিকুল সুজন ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অঞ্জন দাস, সৈকত মল্লিক এবং নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিত চন্দ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
আরকেআর/আরবি