ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

হাসিনাকে দিয়ে স্বার্থ রক্ষা করতো ভারত, তাই এত মায়াকান্না: রিজভী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
হাসিনাকে দিয়ে স্বার্থ রক্ষা করতো ভারত, তাই এত মায়াকান্না: রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতকে জ্ঞানী-গুণি দেশ বলে জানতাম, এখন মনে হচ্ছে দেশটিতে হিংস্রঘাতক এবং রক্তপিপাসু মানুষ বাস করে। তারা হাসিনাকে দিয়ে তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতো।

সে স্বার্থের কারণে তারা এখন শেখ হাসিনার জন্য এত মায়াকান্না করছে।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আহতদের দেখে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রক্তপিপাসু নীতির ওপর ভিত্তি করে ক্ষমতা ধরে রেখে ছিলেন। ক্ষমতায় টিকে থাকতে নিজ দেশের ছাত্র, শ্রমিক রিকশাচালক থেকে শুরু করে অসংখ্য মানুষের রক্তপাত করেছেন, তা এসব আহত রোগীদের দেখলে বুঝা যায়। এদের দেখলে হৃদয়টা কেঁদে ওঠে। শরীর শিউরে ওঠে।  

রিজভী বলেন, পলাতক প্রধানমন্ত্রীকে যারা আশ্রয় দিয়েছে, সেখান থেকে যারা বিভিন্ন অপপ্রচার করছে, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই বাংলাদেশে এসে আন্দোলনে আহত এসব ছাত্র-জনতাকে দেখুন। কি ধরনের ভয়াবহ নির্মম পাশবিকতা চালিয়েছে হাসিনা সরকার। কারো মুখ নষ্ট হয়ে গেছে। কারো দুই হাত উড়ে গেছে। কারো দুই পা কেটে ফেলা হয়েছে। কারো চোখের কর্নিয়া নষ্ট হয়ে গেছে। জীবন যেন তাদের কাছে এখন অভিশাপ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে নাকি দিনরাত হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এ ধরনের অপতথ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু প্রযুক্তির এ যুগে তারা সফল হতে পারছে না। খুনি হাসিনাকে যারা রক্ষার চেষ্টা করবে, তারা স্বাধীনতাবিরোধী, সার্বভৌমত্ববিরোধী ও জনগণবিরোধী।  

বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আগরতলায় বাংলাদেশের পতাকা ছিড়েছে। আমাদের দেশের লোকদের গায়ে হাত তুলেছে। ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী এটি একটি ভয়ংকর আন্তর্জাতিক গুরুতর অপরাধ। কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করেনি শেখ হাসিনা নিজ দেশের মানুষের ওপর কি নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে। কি হিংস্র আচরণ করেছে। আজ তার জন্য এত মায়া কান্না। তার জন্য আজ সীমান্তে সীমান্তে ভারতীয় লোকজন এসে বাংলাদেশে ঢোকে পড়ে বিক্ষোভ করবে বলে বলছে।

তিনি আরও বলেন, চিন্ময় তার অপকর্মের কারণে ইসকন থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তার অপরাধের কারণে সরকার তাকে গ্রেপ্তার করেছে। তার জন্য মনে হচ্ছে দিল্লি থেকে সব জায়গায় কান্নার রোল পড়ে গেছে। এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশ স্বাধীন ও সর্বভৌম রাষ্ট্র। রক্তের দামে কেনা বাংলাদেশ। কেউ এ দেশকে ভয় দেখিয়ে মাথানত করাতে পারবে না। চোখ রাঙিয়ে নতজানু করতে পারবে না। যারা আমার ভাইদের হত্যা করেছে, হাত কেটে দিয়েছে, মুখ উড়িয়ে দিয়েছে তাদের বিচার বাংলাদেশে হতেই হবে। যারা নির্দেশ দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ প্রত্যেকের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২৪
এজেডএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।