ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ মাঘ ১৪৩১, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৯ রজব ১৪৪৬

রাজনীতি

পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ! 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
পঞ্চগড়ে ছাত্রদলের দুই নেতাকে শোকজ!  রোকনুজ্জামান জাপান ও জাহেদুল ইসলাম রাসেল

পঞ্চগড়: দলীয় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের দুই নেতার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) জারি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি।

কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয় পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপানকে।

 

এদিকে নোটিশ পাওয়ার পর সঠিক কারণ দর্শাতে সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে এই দুই ছাত্রদল নেতা।  

এর আগে রোববার (২৬ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপান ও সিনিয়র সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম রাসেল পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের দ্বায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এই মর্মে আগামী ২৮/০১/২০২৫ ইং তারিখের মধ্যে জাতীয়বাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নির্দেশনা দেন।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি জাহেদুল ইসলাম রাসেল গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমাদের মধ্যে যারা নওশাদ ভাইয়ের লোক তাদের টার্গেট করে মারা হচ্ছে। তারা তো আজাদ ভাইয়ের লোক। গত ২৩ জানুয়ারি রাত ১১টার পরে নওশাদ ভাই চলে যাওয়ার পরপরই আমাকে মারধর করা হয়। আমার কোনো অপরাধ ছিল না। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসেছিল। আমাকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছে। ঢাকার পথে আমি।

পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান জাপান বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সভায় আমাকে স্বেচ্ছাসেবকের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখানে জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলেরও কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সেদিন নওশাদ ভাই সভায় আসর পরে কয়েকজন ডেলিগেট কার্ড ছাড়া ঢুকে পড়ে। আমরা তাদের বাধা দেই। এসময় কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। আমাদের কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও হয়। আর সিনিয়র সহসভাপতি সব সময় দলের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে ঘুরেন। আমরা সবাই এক তিনি আলাদা। তাকে হয়ত কেউ বলেছে যে এই কমিটি ভাঙতে পারলে তুমিই সভাপতি হবা। এই লোভেই হয়ত এমনটা করেছেন। এ ঘটনার ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য আমি ঢাকার পথে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৫
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।