নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে হরতালের মিছিলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়েছে।
এতে বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকসহ উভয়পক্ষের ৮ নেতাকর্মী আহত হয়।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মীকোল বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় বাজারের বেশকিছু দোকান ভাঙচুর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যায় লক্ষ্মীকোল বাজারে মাছপট্টিতে জামায়াত-শিবিরের কিছু কর্মী বৃহস্পতিবারের হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্র্মীরা বাধা দিলে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় শিবিরের কর্মীরা বড়াইগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন (৩৭) ও কর্মী আনোয়ারুল ইসলামকে (৩২) হাঁসুয়া দিয়ে কোপায়।
খবর পেয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল হকের নেতৃত্বে শতাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী বাজারে মিছিল বের করে। তারা বাজারের মাঝে উপজেলা জামায়াতের অফিস ও পাশের একটি ওষুধের দোকান ভাঙচুর করে।
এ সময় তারা উপজেলা শিবিরের সেক্রেটারি জোবায়ের হোসেন (২৩), বড়াইগ্রাম ডিগ্রি কলেজ শাখা শিবিরের সভাপতি ফিরোজ হোসেন (২২), বড়াইগ্রাম ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি লালন হোসেন (২৩), ৯ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আবুল হাসান ও জামায়াত কর্মী আলতাফ হোসেনকে লাঠিপেটা করে। আহতদের সবাইকে বড়াইগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এমরান আলী আহত হন।
সংঘর্ষের জন্য পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি আবু বক্কর সিদ্দিক ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক মাহবুবুল হক একে অপরকে দায়ী করেছেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম সংঘর্ষের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। বাজারে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪