ঢাকা: আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ওপরে খালেদা জিয়ার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশই স্পষ্ট করেছে যে, বিএনপি ভাঙছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া তার দলের নেতৃবৃন্দকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে মন্ত্রী হতে বলেছেন।
অন্যদিকে, নেতারাও চেয়ারপার্সনের ওপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। বিএনপি রক্ষার্থে দলের নেতারাই এখন চাইছেন, খালেদা জিয়া যেন বিএনপি থেকে সরে যান।
বুধবার সকালে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত ‘চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া বলেছেন, তার নাকি নেতৃবৃন্দের ওপরে আস্থা নেই। কিন্তু তৃণমূলের ওপরে আছে। প্রকৃতপক্ষে, বিএনপির তৃণমূলের কর্মীরাই খালেদা জিয়া এবং নেতৃবৃন্দের ওপরে আস্থা রাখতে পারছেন না। তাই, তারা দল ছাড়ছে। আবার অনেকেই লুকিয়ে আছেন।
আওয়ামী লীগের এ নেতা তার বক্তব্যে বলেন, দেশের উন্নয়নে দেশের যে কোনো সংকট নিরসনে সরকারি ও বিরোধীদলের একসঙ্গে কাজ করার নাম হলো- পলিটিকস অব একোমোডেশন।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কংগ্রেস সরকারের সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগকে সমর্থন দিয়েছিল বিজেপি। পরবর্তীতে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে এই চুক্তি বাস্তবায়ন করে। এটাই হলো পলিটিকস অব একোমোডেশন।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও পলিটিকস অব একোমোডেশনে বিশ্বাসী। কিন্তু আমাদের দেশে রাজনীতিতে আমরা এ সংস্কৃতি চালু করতে ব্যর্থ হয়েছি। আর এর প্রধান অন্তরায় হলো খালেদা জিয়া। তিনি তার জিঘাংসা পরায়ণতা চরিতার্থ করতে নিজের জন্মদিন বদলে ১৫ আগস্টের মতো শোকাবহ দিনে জন্মদিন পালন করছেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোকোর মৃত্যুর পরে একজন মা হিসেবে খালেদা জিয়ার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা তো দূরের কথা, বাসার আঙিনার ফটক পর্যন্ত খোলেননি।
সর্বদলীয় সরকার গঠনের সময়ও বিএনপির পক্ষ থেকে নাম চাওয়া হলে বিএনপি সেদিন নাম দেয়নি। উপরোন্তু, নির্বাচন বর্জন করছিল।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন- বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, অরুণ সরকার রানা, আব্দুল হাই কানু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৫
বিজ্ঞপ্তি/এবি