ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ড্যান্ডি ডাইং ঋণ খেলাপি মামলায় জবাব দিচ্ছেন খালেদা

স্পেশল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
ড্যান্ডি ডাইং ঋণ খেলাপি মামলায় জবাব দিচ্ছেন খালেদা খালেদা জিয়া / ফাইল ফটো

ঢাকা: ড্যান্ডি ডাইংয়ের ৪৫ কোটি টাকা ঋণ খেলাপি মামলায় আদালতে জবাব দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় খালেদা জিয়া আদালতে জবাব দেবেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট ‍আহমেদ আজম খান।



ড্যন্ডি ডাইং মামলায় আজ মঙ্গলবার জবাব দেওয়া দিন ধার্য ছিল।    

অ্যাডভোকেট ‍আহমেদ আজম খান বলেন, ঋণ নিচ্ছে ড্যান্ডি ডাইং কোম্প‍ানি। কোনো ব্যক্তি ঋণ নেয়নি। ‌ ঋণের সকল দলিলপত্রে সাঈদ এস্কান্দারের সই রয়েছে। এখানে আরাফাত রহমান কোকোর কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কোকো মারা যাওয়ার পর এখানে খালেদা জিয়ার কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা থাকার কথা নয়।  

মামলার বিবাদীরা হলেন- ড্যান্ডি ডায়িং লি., প্রয়াত সাঈদ এস্কাদরের ছেলে শামস এস্কান্দার ও সাফিন এস্কান্দার, মেয়ে সুমাইয়া এস্কান্দার, স্ত্রী বেগম নাসরিন আহমেদ, তারেক রহমান, আরাফাত রহমান, গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, মামুনের স্ত্রী শাহীনা ইয়াসমিন, কাজী গালিব আহমেদ, শামসুন নাহার ও মাসুদ হাসান।

মামলার ১০ নম্বর বিবাদী মোজাফফর আহমেদ মারা যাওয়ায় তার স্ত্রী শামসুন্নাহার ও ছেলে মাসুদ হাসানকে এ মামলায় বিবাদীভূক্ত করা হয়।

গত বছরের ২ অক্টোবর ঢাকার প্রথম অর্থঋণ আদালতে মামলাটি করেন সোনালী ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয় শাখার সিনিয়র নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম।

৪৫ কোটি ৫৯ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৫ টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিবাদীরা ড্যান্ডি ডাইংয়ের পক্ষে ১৯৯৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করেন।

ওই বছরের ৯ মে সোনালী ব্যাংক বিবাদীদের আবেদনকৃত ঋণ মঞ্জুর করেন।

২০০১ সালের ১৬ অক্টোবর বিবাদীদের আবেদনক্রমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সুদ মওকুফ করেন। এরপর ঋণ পুনঃতফসিলিকরণও করা হয়।
 
কিন্তু বিবাদীরা ঋণ পরিশোধ না করে বরাবর কালক্ষেপণ করতে থাকেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ২০১০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকের পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত নোটিশ প্রদান করা হলেও বিবাদীরা কোনো ঋণ পরিশোধ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৫
এমআই/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।