ঢাকা: দীর্ঘ ছয় মাস ১০ দিন পর ঘরে ফিরলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতল থেকে পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা তাকে উত্তরার বাসায় নিয়ে যান।
ঈদের পর সুবিধা মতো সময়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়া হতে পারে তাকে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেসউইং কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে বুধবার (১৫ জুলাই) রাতে গুলশানের বাসায় গিয়ে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনেকদিন পর দলের চেয়ারপার্সন ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের মধ্যে একান্তে বৈঠক হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠককালে তার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন খালেদা জিয়া।
এছাড়া সংক্ষিপ্ত বৈঠকে পরস্পর কুশলাদি বিনিময়ের পাশাপাশি দলের সর্বশেষ পরিস্থিতি, সাংগঠনিক অবস্থা, ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও করণীয় সম্পর্কে ফখরুলের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
তবে পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত দলীয় কার্যক্রমে খুব একটা দৌড়ঝাঁপ না করার পরামর্শ দেন ফখরুলকে। প্রয়োজনে উন্নত চিকিৎসার জন্য যত দ্রুত সম্ভব, দেশের বাইরে যাওয়ারও পরামর্শ দেন খালেদা জিয়া।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন গত ৬ জানুয়ারি প্রেসক্লাবের সামনে থেকে আটক হন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সম্প্রতি, হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে তার মুক্তি বিলম্বিত হয়।
সোমবার (১৩ জুলাই) সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন আদেন বহাল রাখলে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মুক্তির পর সেখান থেকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। কিন্তু অনেকদিন পরিবার-পরিজন থেকে দূরে থাকায় ঈদের আগেই ঘরে ফিরতে উদগ্রীব ছিলেন তিনি। এ কারণেই বৃহস্পতিবার দুপুরে পরিবারের সদস্যরা মির্জা ফখরুলকে বাসায় নিয়ে যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৫
এজেড/এবি