ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে যাত্রী হত্যা চেষ্টার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও এম কে আনোয়ারসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দু’টি চার্জশিট দাখিল করেছে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় পৃথক এ দু’টি চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২২ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্টেট (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দু’টি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুরাদুজ্জামান।
আদালতের যাত্রাবাড়ী থানার জিআরও উজির আলী চার্জশিট দাখিলের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার ৬১(১)১৫ মামলায় বুধবার বিকালে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ৫৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে দু’টি চার্জশিট দাখিল করেছেন। আগামি ২ আগস্ট চার্জশিট দু’টি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে উত্থাপন করা হবে।
চার্জশিটে আরও যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খোন্দকার মাহবুব হোসেন ও সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ ভুলু ও আমান উল্লাহ আমান, খালেদা জিয়ার একান্ত সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন ওরফে দিদার, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিবুন্নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর ও রবিন, নবীউল্লাহ নবী, কমিশনার আতিকুল্লাহ ও বাদল সর্দার।
অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় অপর ১৬ জনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের হরতাল-অবরোধ চলাকালে গত ২৩ জানুয়ারি রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাজলা মহিলা মাদ্রাসার সামনে তারাব পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় ২৪ জানুয়ারি বিকেলে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৫
এমআই/এএসআর