ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি গুলশানের বাসা থেকে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের উদ্দেশে রওয়ানা হন।
সকাল সাড়ে ১০টায় মামলা দু’টির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য্য রয়েছে।
মামলার দুটির বিচার কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।
এর আগে গত ১৮ জুন বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আসামিপক্ষের আংশিক জেরা সম্পন্ন হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে তাকে জেরা করেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এরপর আসামিপক্ষের আবেদনক্রমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দিন ধার্য করা হয়।
মামলার বাদি হারুন অর রশীদের সাক্ষ্যগ্রহণ বাতিল চেয়ে করা আবেদন হাইকোর্ট সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছেন। তবে আদেশের কপি পাওয়া যায়নি মর্মে আজ যথারীতি সাক্ষ্যগ্রহণ স্থগিত রাখার আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন মামলা সংশ্লিষ্ট এক আইনজীবী।
হারুন-অর-রশিদ গত ২৫ মে পর্যন্ত সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন।
অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৫
এসজেএ/বিএস