ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে কটূক্তি করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামি ১৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
গত ২৩ মার্চ ঢাকার সিএমএম আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফজলুল করিম আরিফ পাটোয়ারী।
মামলায় তারেক রহমান ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক বিশেষ উপদেষ্টা ও বিএনপির বৈদেশিক দূত জাহিদ এফ সরদার সাদীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়।
ওইদিন ম্যাজিস্ট্রেট পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান ইস্ট লন্ডনের দ্য আট্টিয়াম অডিটোরিয়ামে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ‘রাজাকার’, ‘খুনি’ ও ‘পাকবন্ধু’ ছিলেন। তিনি পাকিস্তানে ‘শখের বন্দি’ ছিলেন এবং মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের কোনো ভূমিকা নেই।
অন্যদিকে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আসামি সাদী এক লিখিত বিবৃতিতে বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের মরণোত্তর বিচার, শাস্তি ও মরণোত্তর ফাঁসি দাবি করেন।
এসব বক্তব্য বাংলাদেশের সমস্ত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়, যা মানহানিকর এবং এতে বাদিরও মানহানি হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৫
এমআই/বিএস