মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে পুলিশের তল্লাশি ও ভাঙচুরের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার মো. সামছুজ্জামানকে (শ্রীনগর সার্কেল) ১৫ দিনের মধ্যে অপসারণের জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে এ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
এ সময় শ্রীনগর সার্কেল এএসপির কার্যালয়ের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে সেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা রোববার দুপুর ১২টা থেকে এএসপির (সার্কেল) অফিসের সামনে জড়ো হতে থাকলে সার্কেল এএসপির কার্যালয়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পুলিশ এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ উপস্থিত হলে নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিলে স্থানীয় এমপি সুকুমার রঞ্জন ঘোষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
পরে সেখানে প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষ বলেন, থানায় মামলা না থাকার পরও যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের বাড়িতে তল্লাশির নামে হয়রানি করা সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড।
তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এএসপি-সার্কেলকে অপসারণের আল্টিমেটাম দেন তিনি। তা না হলে পরবর্তী ঘেরাও কর্মসূচি পালন করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শ্রীনগর ডাকবাংলো মার্কেটের সামনে দ্বিতীয় দফা সমাবেশ করেন।
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার গভীররাতে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নেছার উল্লাহ সুজনের গ্রামের বাড়ি সমষপুর ও ছাত্রলীগ নেতা অনিক ইসলামের বেজগাঁওয়ের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি ও ভাঙচুর করে। থানায় মামলা না থাকা এবং স্থানীয় থানা পুলিশকে না জানিয়ে অপর পুলিশ সদস্যদের দিয়ে তল্লাশি ও গ্রেফতার অভিযান রহস্যজনক।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান জানান, শনিবার রাতে পুলিশের অভিযানের বিষয়টি তিনি অবগত ছিলেন না। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থানা পুলিশকে না জানিয়েও অভিযান চালাতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, ২৬ জুলাই, ২০১৫
আরএ