বাগেরহাট: বাগেরহাটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হাসান রাজু হত্যা মামলায় ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদাণ্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।
দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন-বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের আব্দুছ ছাত্তারের চার ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (২৩), শেখ নূর হোসেন (২১), শেখ নজরুল (২০), শওকত শেখ (৩২), একই গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৫৮) ও নুরু শেখ (৪০), আব্দুল গণি শেখের ছেলে ফারুক শেখ (৩৩), আব্দুর রহমানের ছেলে হোসেন শেখ (২১), চাপাতলা গ্রামের আব্দুল কাদের (৫০), আব্দুল কাদেরের ছেলে জিয়ারুল শেখ (২৪), কামরুল শেখ (২৫) এবং আব্দুল মান্নানের ছেলে সুলতান (২২)।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাগেরহাট জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলী।
তিনি জানান, ২০০৬ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বাগেরহাট সদর উপজেলার যাত্রাপুর এলাকায় ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জের ধরে আরিফ হাসান রাজুকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রাজুর বাবা শেখ নুর ইসলাম বাদী হয়ে ওই দিনই বাগেরহাট (সদর) মডেল থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞত আরো চার/পাঁচজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান ২০০৭ সালে ২১ জানুয়ারি ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার ওই ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৫
এসআই