ইবি: চাকরি প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
আন্দোলনকারী নেতাকর্মীদের দাবি, তাদের চাকরি না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিফটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ থেকে আসা বাস ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয় আন্দোলনরত নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দার, ইলিয়াস জোয়ার্দ্দার ও মাহাবুব খোকনের নেতৃত্বে ১০/১৫জন নেতাকর্মী তালা লাগানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়। এতে আর কোনো বাস ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে শহরে যেতে না পারায় দ্বিতীয় শিফটে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসতে পারেনি।
সকাল থেকে উপাচার্যের বাসভবনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে শিক্ষক পদে আগ্রহী প্রার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনে উপস্থিত হয়। পরে, তাদের বাসভবন থেকে বের করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে কোনো প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেনি। এ অবস্থায় দুপুর আড়াইটার দিকে নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করা হয়।
এদিকে, আগামী ৩০ জুলাই পরিসংখ্যান ও ০২ আগস্ট আইন বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডও স্থগিত করা হয়েছে।
আন্দোলনকারী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দ্দার বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তাদের ঝুলিয়ে রেখেছে।
তাদের চাকরি দিতে প্রশাসন টালবাহানা করছে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, শিক্ষক নিয়োগে লাখ লাখ টাকা পাওয়া যায়, তাই প্রশাসন তাদের নিয়োগ দিচ্ছে।
রাসেল জোয়ার্দ্দার বলেন, ‘আমারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেছি, এখনো করি। আমাদের একটা ব্যবস্থা প্রশাসন না করলে যেন স্পস্ট বলে দেয়।
নিয়োগ বোর্ড স্থগিত হওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লোকমান হাকিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার বাংলানিউজকে বলেন, নিয়ম অনুযায়ী আজকে বোর্ড ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পক্ষ চাকরি প্রত্যাশীদের উসকে দিয়ে নিয়োগ বোর্ড করতে বাধা দিচ্ছে। আমি বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছি। মন্ত্রণালয় থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তারা বার বার একই কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৫
এমজেড/