ঢাকা: দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়স্থল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বুধবার (২৯ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখায় প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের আমল থেকে বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়স্থল। আর এ কারণেই সালাহউদ্দিন কাদেরের মতো একজন হিংস্র মানুষ বিএনপিতে আশ্রয় পায়।
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধ প্রিয় জনগণ থেকে অনেক আগেই বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, খালেদা-তারেক, বিএনপি-জামাত-শিবির যতোই সহিংসতা, নাশকতা, ষড়যন্ত্র, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালাক না কেন মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন হবে।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের রায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বহাল রাখায় ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলেও দাবি করেন নানক।
তিনি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। এ রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে কলঙ্ক মুক্তির পথে আরও একধাপ এগিয়েছে।
এ বিচারের মধ্যদিয়ে মুক্তিযুদ্ধে আত্মাহুতিদানকারী ৩০ লাখ শহীদের আত্মা, সম্ভ্রম হারানো ২ লাখ মা-বোনসহ স্বজন হারানোর ব্যথা নিয়ে যারা বেঁচে আছেন তারা সান্ত্বনা পাবেন, স্বস্তি পাবেন, বলেন নানক।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি এ মামলার সাক্ষী, তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটরদের ধন্যবাদ জানান।
সাকা চৌধুরীর এ রায়ের মধ্য দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে অগ্রগতি লাভ করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও দু্র্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৫
এমইউএম/আরএম