বাকৃবি (ময়মনসিংহ): আধিপত্য বিস্তার, টেন্ডারবাজি, হামলা-ভাঙচুর, অস্ত্র আইনসহ একের পর এক মামলায় হিমসিম খাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগ। এরই মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা পুলিশ জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের দায়ের করা ডাকাতি মামলা, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) দায়ের করা হামলা মামলা এবং পুলিশের দায়ের করা অস্ত্র মামলা মিলিয়ে শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি মামলা। এসব মামলায় শাখা ছাত্রলীগের অজ্ঞাতনামাসহ শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবু, সহ-সভাপতি বিজয় কুমার বর্মণসহ পাঁচ নেতাকর্মীর নামে ডাকাতি মামলা করেন শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রুহুল আমীন।
চলতি বছরের ১ জুন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অবস্থিত বিএফআরআই এর স্বাদু পানি কেন্দ্রে গিয়ে পাঁচ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিজয় কুমার বর্মণ, ওয়াহাব রিন্টু এবং যুগ্ম-সম্পাদক মনিরুল হাসান পলাশসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনের নামে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন- প্রশাসনিক কর্মকর্তা আকতার হোসেন।
৭ জুলাই রাতে বাকৃবি ও ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস এম নূর মোহাম্মদ বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন।
ওই দিন বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জসিম উদ্দিনের ভগ্নিপতি মাহমুদুর রহমান সুরুজ বাদী হয়ে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় আসামী হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান বাবু, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নূরে আলম বাপ্পী, কর্মী অলিউল্লাহ অলিসহ ১৩ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ৪০/৫০ জন।
এদের মধ্যে একটি মামলায় শাখা ছাত্রলীগের তিন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিটভুক্ত আসামি ও অপর একটি মামলার আসামি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন- শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি নূরে আলম বাপ্পী ও কর্মী অলিউল্লাহ অলি।
এদিকে, ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের বাসা ভাঙচুরের অভিযোগে দায়ের করা দ্রুত বিচার মামলার আসামি হিসেবে ২৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে ময়মনসিংহ গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। আটকরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিজয় কুমার বর্মণ, ওয়াহাব রিন্টু এবং যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম খান অপু ও মনিরুল হাসান পলাশ।
এ বিষয়ে বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মুর্শেদুজ্জামান খান বাবুর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আরো তিনটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। কয়েকজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৫
এমজেড/