ঢাকা: জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে জাতি হতাশ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
শনিবার (০১ জুলাই) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে- শাসক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমন বক্তব্য দিয়ে জাতিকে হতাশ করেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি এই শঙ্কা জাগিয়ে তুলেছেন যে, দেশে আবারও একটি ৫ জানুয়ারির মতো ভোটারবিহীন নির্বাচন হবে। ’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘এটি আইনি বাধ্যবাধকতার নির্বাচন,পরবর্তীতে দ্রুত সব দলের অংশগ্রহণে পুনরায় একটি নির্বাচন হবে’ এমন প্রতিশ্রুতি থেকে এখন তারা (আওয়ামী লীগ) সরে এসেছেন। ক্ষতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বেপরোয়া আচরণে আজ দেশবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ’
সরকারের বিভিন্ন সমালোচনা করে বিএনপির মুখপাত্র ড. রিপন বলেন, ‘দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আজ এতোটাই ভয়াবহ যে- মায়ের পেটের শিশুও নিরাপদ নয়। মায়ের গর্ভ বিদীর্ণকারী শাসকদলীয় অস্ত্রবাজরা মাগুরাসহ সারাদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থার আশু অবসান প্রয়োজন। ’
দেশে এখন আইনের শাসন নেই দাবি করে বিএনপি নেতা ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, দেশে সুশাসন নেই,ফলশ্রুতিতে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার যাঁতাকলে জাতি আজ নিষ্পেষিত হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান সংকট থেকে রক্ষা পেতে সরকার বিরোধী দলগুলোকে সাংবিধানিক কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন আরও বলেন, ‘এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সব দলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় নির্বাচনের কথা বলছেন। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের কথা-বার্তায় এর কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এতে প্রমাণিত হয়েছে যে, তাদের অধীনে দেশে কোনো সুষ্ঠু-অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ খোলা নেই। ’
‘ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে অবশ্যই প্রতিহিংসার রাজনীতিকে প্রশ্রয় দেবেনা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নির্বাচনে পরাজিতদের সঙ্গে পরামর্শ করে সবাইকে নিয়ে দেশ পরিচালনা করবে, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
এজন্য দ্রুত একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য করণীয় নির্ধারণ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির এই মুখপাত্র।
ছিটমহল সমস্যার সমাধানে আনন্দিত বিএনপিও
৩১ জুলাই অর্থাৎ শুক্রবার দিনগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ঐতিহাসিক স্থল সীমান্ত চুক্তি (এলবিএ) বাস্তবায়নের আওতায় বাংলাদেশ-ভারতের ১৬২ ছিটমহল বিলুপ্ত হয়ে সেখানে নিজ নিজ দেশের নিজস্ব জাতীয় পতাকা উড়েছে।
এতে সেখানকার বাসিন্দাদের মতো নতুন স্বাধীনতার আনন্দে আনন্দিত বিএনপিও।
বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, এতে বাংলাদেশের নতুন নাগরিকরা আমাদের মূল ধারায় মিশে যাবেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা।
সেখানকার মানুষ যাতে সংবিধান অনুযায়ী সমতার দৃষ্টিতে সব সুযোগ সুবিধা পান-তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৫
এমএ