লক্ষ্মীপুর: জামায়াতের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের লক্ষ্মীপুর পৌর শাখার সভাপতি ও জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আবুল ফারাহ নিশানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ফারহানা আক্তার চামেলীকে হত্যার উদ্দেশে মারধর করার ঘটনায় তিনি মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) দুপুরে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন।
মামলাটি গ্রহণ করে বিকেলে আসামি আবুল ফারাহ নিশানের বিরুদ্ধে জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আফসানা আবেদিন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এ মামলায় নিশানের মা ও বোনকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহার সূত্র জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার সমসেরাবাদ এলাকার জামায়াত নেতা নিশান ২০০৯ সালের ১৭ নভেম্বর রায়পুর পৌরসভার পূর্বলাচ এলাকার প্রয়াত আবদুল ফাতেরের মেয়ে ফারহানা আক্তার চামেলীকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে কারণে-অকারণে স্ত্রীকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করে আসছিলেন।
এক পর্যায়ে ব্যবসা করার কথা বলে শাশুড়ির কাছ থেকে নিশান আট লাখ টাকা ধার নিলেও আর পরিশোধ করেননি। এছাড়া চলতি বছরের ২ মে ব্যবসায় লোকসান হয়েছে জানিয়ে বাবার বাড়ি থেকে আরও দুই লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য স্ত্রীকে তিনি চাপ দেন।
এসময় তিনি জানান, দাবিকৃত টাকা না দিলে সে অন্যত্র বিয়ে করে যৌতুক নিবে এবং তাকে তালাক দিবে। এতে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে হত্যার উদ্দেশে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করে নিশান, তার মা রোকেয়া বেগম ও বোন বিউটি আক্তার।
নিশান-ফারহানা দম্পতির সংসারে মুয়াজ নামে তিন বছর ১০ মাসের একটি ছেলে রয়েছে। পরে স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে নিশান ফারহানা আক্তার মুক্তা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেন। সবশেষ এ নিয়ে ২৪ জুলাই ফারহানার বাড়িতে এক পারিবারিক শালিসে নিশান সাফ জানিয়ে দেন, যৌতুকের টাকা না দিলে সে শালিস মানবে না। এসময় তিনি ছেলেকে তার মায়ের কোল থেকে নিয়ে বেরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে জামায়াত নেতা আবুল ফারাহ নিশান বলেন, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো সত্য নয়। সে আমার স্ত্রী, তার বিরুদ্ধে আমি কিছু বলতে চাই না।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা কাগজটি থানায় এসে পৌঁছেনি। হাতে পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৫
পিসি