ঢাকা: মাগুরায় মায়ের পেটে শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় জাতির কাছে সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ শিশু ও তার মাকে দেখতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এরশাদ বলেন, জাতিকে সরকারের বলা উচিত যে, সেটা অন্যায় হয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। তবে আমার মনে হয়, সরকার তা করবে না। সরকার যদি এ বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে, তাহলেও দেশের অনেক মানুষ শান্তি পাবে।
এরশাদ হতাশ কণ্ঠে বলেন, মায়ের পেটের শিশুকে গুলি করে, তা কি করে সম্ভব? যারা দায়ী তাদের কঠোর শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর ঘটবে না।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, দোষীদের কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন, যাতে ভবিষ্যতে এমন নিষ্ঠুরতা কেউ না করতে পারে।
গত ৩ বছরে দেশের ৭৭৭ জন শিশু বিভিন্ন সহিংসতায় মারা গেছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানান এরশাদ।
তিনি বলেন, যারা এ কাজ করছেন তারা জানেন যে, তাদের গায়ে কেউ হাত দিতে পারবে না। যদি সুবিচার হতো এ ধরনের ঘটনা ঘটতো না।
বিচারহীনতার জন্য কাকে দায়ী করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, সমাজকে। যতোদিন বিচার ব্যবস্থা সুষ্ঠু না হবে, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থাকবে, ততোদিন শিশু হত্যা বন্ধ হবে না।
এ সময় এরশাদের সঙ্গে ছিলেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের, পাটির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন বাবলু, হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ২৩ জুলাই বিকালে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড়ায় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী কামরুল ভূঁইয়ার সঙ্গে সাবেক যুবলীগ কর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
এ সময় কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভূঁইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা বেগম (৩০) ও প্রতিবেশি মিরাজ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। কামরুলের চাচা আব্দুল মোমিন ভূঁইয়া গুলিতে নিহত হন।
ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুই দিন পর তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৫
আরইউ/বিএস/এএসআর