ঢাকা: ‘বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকাণ্ডে শুধু দেশের কুলাঙ্গারই নয়, আন্তর্জাতিক চক্রও এর সঙ্গে জড়িত ছিল। ’
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ মন্তব্য করেন।
আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশিরা জানতো বঙ্গবন্ধু থাকলে তাদের স্বার্থ হাসিল হবে না। এ জন্য তারা স্বাধীনতার পর এ দেশের কুলাঙ্গারদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তবে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যায় শুধু এ দেশের কুলাঙ্গারই ছিল না। মূল হোতা ছিল পাকিস্তানের আইএসআই। এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডে ক্লাইভের (লর্ড ক্লাইভ) ভূমিকায় ছিল জিয়াউর রহমান আর মীর জাফরের ভূমিকায় ছিল খন্দকার মোশতাক আহম্মেদ।
তিনি বলেন, ‘একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ষড়যন্ত্রের কারণে জিয়াকে তার দায়িত্ব থেকে দুই বার ক্লোজ করা হয়েছিল। মেজর ডালিম পাকিস্তান সেনা শাসকের গুপচর হিসেবে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার উদ্দেশ্য হাসিল করে। ’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালে মোশতাককে সরিয়ে নিজেই ক্ষমতা বসেন। ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর এক ‘সামরিক ফরমান’ বলে দালাল আইন বাতিল করে রাজাকারদের মুক্ত করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোটের সভাপতি মনিরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা মেজর (অব.) জিয়া উদ্দিন, সহ সভাপতি সামসুল কাওনাইন কুতুব, সালাউদ্দিন আহম্মেদ, মহাসচিব নাজমুল হাসান পাখি, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুল্লাহ হাবিব, দফতর সম্পাদক মাইকেল এ শাহ ও সদস্য মো. বেলায়েত প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, যত ষড়যন্ত্রই হোক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৫ (আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা)
এসএস/টিআই