ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আদালত গল্প-উপন্যাস লেখার জায়গা না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
আদালত গল্প-উপন্যাস লেখার জায়গা না সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত / ফাইল ফটো

ঢাকা: নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আদালতের দেওয়া পর্যালোচনার কঠোর সামালোচনা করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
 
শুক্রবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ সমালোচনা করেন।



সুরঞ্জিত বলেন, সরকারের কাজ সরকার করবে, আদালত নিজের কাজ করবেন। আদালতের কাজ হচ্ছে, আমরা (সংসদ সদস্য) যদি কোনো আইন পাশ করি তা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিনা তা দেখা। আদালত তো আর গল্প-উপন্যাস লেখার জায়গা না।

‘আপনারা (আদালত) ল’পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন এটি বৈধ না অবৈধ, সাংবিধানিক না অসাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক না অগণতান্ত্রিক। কিন্তু আপনারা যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, এটি প্রাসঙ্গিক নয়। ’
 
এদিকে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা সংক্রান্ত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ১৯ ধারার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে একটি অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি এ রায় প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে আদালত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকালীন অন্তর্র্বতী সরকার গঠনের দু’টি ফর্মুলা দিয়েছেন।

প্রথম ফর্মুলায় বলা হয়েছে, অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান হবেন প্রধানমন্ত্রী। নতুন ৫০ জন মন্ত্রী নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই সরকারের মন্ত্রিসভা গঠন করবেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা দলগুলো থেকে ভোটের হারের অনুপাতে মন্ত্রী নেওয়া হবে।

হাইকোর্টের দ্বিতীয় ফর্মুলায়, রাষ্ট্রক্ষমতা ভাগাভাগির তত্ত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল প্রথম চার বছর ক্ষমতায় থাকবে। আর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সর্বশেষ এক বছর ক্ষমতায় থাকবে।
 
শোক সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের আহ্বান জানিয়ে সুরঞ্জিত বলেন, খালেদা জিয়া কিসের ভিত্তিতে বলেছেন, ‘খবর আছে, এ সরকারের পতন হবে। ’ তাকে বলতে চাই, সামনে কি কোনো নির্বাচন রয়েছে?

তিনি বলেন, যেকোনো সরকার পরিবর্তন হয় একটি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারের নির্বাচনের মাধ্যমে। আর একটি পরিবর্তন হতে পারে বিশাল একটি আন্দোলন বা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। এরকম কোনো কর্মসূচি কি রয়েছে? খালেদাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব, তাকে অবিলম্বে জিজ্ঞাসাবাদ করুন।
 
উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের ‘সংবিধান কমিশন গঠন’ প্রস্তাবেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনারা এতদিন কোথায় ছিলেন? ৩৫ বছর এ দেশে সামরিক শাসন চলেছে। কই শুনিনি তো আপনাদের একটি কথা বলতে! এখন যে সংবিধান রয়েছে, এটি ৭২-এর গণপরিষদ পাস করা সংবিধান। তারা (নাগরিক সমাজ) কী কথা বলেন! তারা কারা ও কাদের প্রতিনিধিত্ব করেন তা পরিষ্কার করতে হবে।
 
আয়োজক সংগঠন-বঙ্গববন্ধু একাডেমির সহ-সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৫
এসইউজে/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।