সিলেট: বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ চিন্তা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতি এক ও অভিন্ন বলে মন্ত্রব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু এদেশের সামুদ্রিক আইন পাস করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় প্রমাণ করে যে, বঙ্গবন্ধু আজও প্রাসঙ্গিক এবং সমকালীন।
শনিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আলোচনা সভাটির আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক যে দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছেন তা অনেক বিশ্বনেতার মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু এই বিশ্ববরেণ্য নেতার মৃত্যু এতই করুণ আর জঘন্যভাবে হয়েছে যা অকল্পনীয় এবং চিরঘৃণ্য।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন দাপটের সাথে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে চলেছে। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭৪ সালে খাদ্য চাহিদা ছিল ২ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে আজ ১৬ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য চাহিদা ৩ কোটি ৭০ লাখ মেট্রিক টন। এই দীর্ঘ সময়ে অনেক কৃষি জমির পরিমাণ কমে গেছে। তারপরও বাংলাদেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ। এ সাফল্য গোটা জাতির।
তিনি বলেন- বঙ্গবন্ধু মানুষের মাঝে ভেদাভেদ ভেঙে দিয়েছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ার। তার সোনার বাংলা গড়ার কাজ শুরু করার স্বপ্ন একদল কুলাঙ্গার ধুলিসাৎ করে দিয়েছিল। আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর অন্যতম উন্নত রাষ্ট্র।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের মহানায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির অর্জিত লক্ষ্য নস্যাত করা এবং মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় অধ্যাপক ডা. শায়লা খাতুন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
সভার শুরুতে ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্য, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আশফাক আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ কয়েস, সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, ড. আহমদ আল কবির, হাজী সিরাজুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, এড. মফুর আলী, এড. রাজউদ্দিন, এড. শাহ ফরিদ আহমদ, এড. নিজাম উদ্দিন, বিজিত চৌধুরী, অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, অধ্যাপক জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, অ্যাডভোকেট শাহ মশাহিদ আলী প্রমুখ।
এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৩৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০১৫
এনইউ/এমজেএফ