ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শিক্ষকদের মর্যাদা সর্বোর্ধ্বে বললেও সরকারের আচরণ হাস্যকর’

পলিটিক্যাল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
‘শিক্ষকদের মর্যাদা সর্বোর্ধ্বে বললেও সরকারের আচরণ হাস্যকর’ ড. আসাদুজ্জামান রিপন

ঢাকা: শিক্ষকদের মর্যাদা সবার ওপরে বললেও সরকারের আচরণে সে কথা হাস্যকর মনে হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন।

রোববার (১৫ নভেম্বর) দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

ব্রিফিংয়ের শুরুতেই প্যারিসের লোমহর্ষক সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির মুখপাত্র। একইসঙ্গে তার দল সব ধরনের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পাশে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, আমাদের দল ভবিষ্যতে রাষ্ট্রক্ষমতা পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে।

ড. রিপন বলেন, গত প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দেশের নন এমপিও ক্যাটাগরির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের ন্যায্য দাবি তুলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকার বিষয়টির প্রতি মোটেই সহানুভূতিশীল বলে মনে হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, বাজেট বাড়ানো ছাড়া নন-এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্ত করা সম্ভব নয়। শিক্ষামন্ত্রীর বাজেটের অজুহাত মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ, আমরা দেখছি, প্রতি বছর বাজেটের শৃঙ্খলা ভেঙে সরকার অনেক কিছুই করে থাকে। বাজেটের পরও ভ্যাট ও কর বসিয়ে উন্নয়ন বাজেট বাড়ায়, কমায়ও।

তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ব্যাংক লুটেরাদের ঋণ মওকুফ বিলোপ করায় হাজার হাজার কোটি টাকা অদৃশ্য হয়ে যায়। ফ্লাইওভারে ২ হাজার কোটি টাকার কাজ ছয় হাজার কোটি টাকা হয়ে যায়। রুপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ২০ হাজার কোটি টাকা থেকে লাখ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এভাবে ভুতুড়ে ব্যয় বৃদ্ধির নামে হাজার লাখ কোটি টাকা গায়েব হয়ে যায়। অথচ জনস্বার্থের কাজে, শিক্ষকদের দাবি ও পাওনা পরিশোধে মাত্র কয়েকশ’ কোটি টাকার সংস্থান করতে পারে না সরকার।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন শিক্ষকদের মর্যাদা সবার উপরে। কিন্তু সরকারের আচরণে সে কথা হাস্যকর মনে হয়।   সরকার এভাবে শিক্ষকদের অপমান করবেন, এটা কি জাতি মেনে নিতে পারে ?

তিনি বলেন, সরকার হঠাৎ করে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হলে পাঠদান করবেন কে? জানুয়ারিতে নতুন শিক্ষা বছর শুরু হবে, মাধ্যমিক পর্যায়ের নতুন বই দেওয়া হবে। কিন্তু শিক্ষক না থাকলে শিক্ষার্থীরা কার কাছ থেকে পাঠ নেবে?

বেসরকারি বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয়ভাবে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও পরে সে সিদ্ধান্ত স্থগিত করার বিষয়ে বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘বিনাভোটের’ এমপিদের দলীয় তদবিরে শিক্ষক নিয়োগের আবদারের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শিক্ষানুরাগীদের হতাশ করেছে। আমরা সরকার দলীয় এমপিদের চাপের মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নতি শিকারের ঘটনায় বিস্মিত।

তিনি বলেন, আমরা অনতিবিলম্বে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষক নিযোগের পরীক্ষা পদ্ধতি চালু করার আহবান জানাচ্ছি এবং নন এমপিও ক্যাটাগরির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার জোর দাবি করছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।