ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণের দাবি বিএনপির

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
ভাসানীকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণের দাবি বিএনপির

ঢাকা: সরকার মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে ‘অবজ্ঞা ও অবহেলা’ করছে অভিযোগ করে ভবিষ্যতে তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি করেছে বিএনপি।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) ভাসানীর ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।



দুদু বলেন, মওলানা ভাসানীকে ‘অবজ্ঞা, এড়িয়ে চলা এবং অবহেলা’ করা সরকারের কাজ। আওয়ামী লীগে তার প্রতিষ্ঠাতার প্রতি কোনো মমতা, ভক্তিই নেই।

তিনি বলেন, মজলুম এই নেতার স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি হয় না। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন জায়গায় যান। তিনি মওলানা ভাসানীর মাজারে যেতে পারতেন, তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারতেন। এতে তিনি ছোট হতেন না। অনুরোধ করবো, আগামীতে সরকারের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে যেন তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দলটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান ।

সারাদেশে এক ‘অস্থির, সন্দেহ আর আতঙ্ক’ বিরাজ করছে দাবি করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিপীড়ন করছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ারসহ জ্যেষ্ঠ নেতাদের কারাগারে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দ্রুতই দেশে ফিরে আসবেন জানিয়ে তার এই উপদেষ্টা বলেন, তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে আসছেন। সরকারও বুঝতে পারছে। নতুন দিনের সূর্য ওঠার জন্য তিনি নতুন বার্তা বহন করে দেশে আসছেন। আসবেনই, আসতেই হবে।

আত্মগোপনে না থেকে মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে মেরুদণ্ড সোজা করে রাজপথে থাকতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার কথা বলে। কিন্তু নিজেরাই স্বাধীনতাবিরোধী কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কাজও করেছে।

বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শাসক-শোষক যতো বেশি নিপীড়ন করে মানুষের মধ্যে ততো বেশি ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ক্ষোভের সে আগুন এক সময় দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।

সভায় বক্তারা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করেন।

মওলানা ভাসানী আজীবন বঞ্চিত মানুষের অধিকার আন্দোলনের কাজ করেছেন উল্লেখ করে তারা বলেন, তিনি মেহনতি মানুষের কল্যাণে তাদের স্বার্থ রক্ষায় অন্যায়ের বিরোধিতা করেছেন। এখন যে পানির ন্যায্য হিস্যার কথা বলা হয়, ফারাক্কা বাঁধের বিরোধিতা করে লংমার্চের মাধ্যমে তা আদায়ে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন তিনি।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সেলিমা রহমান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নুরে আরা সাফা, মনির খান, এমরান সালেহ প্রিন্স, শিরিন সুলতানা প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলামিস্ট এরশাদ মজুমদার, নজমুল হক নান্নু, ছড়াকার আবু সালেহ প্রমুখ ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৫
এমএম/আরএইচএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।