ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ যাচাইয়ে ঝিনাইদহ-৩ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলাম ও তার স্ত্রীর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে শহীদুলের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়ায় সম্প্রতি দুদক থেকে ওই সম্পদ বিবরণী নোটিশ প্রেরণ করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) দুদকের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
নোটিশে মো. শহীদুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের অর্জিত যাবতীয় স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা এবং আয়ের উৎস ইত্যাদির বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির সাত কর্মদিবসের মধ্যে কমিশনের নির্ধারিত ছকে সচিব বরাবর দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা তথ্য দিলে দুদক আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে বনানীতে (রোড=২/২, প্লট-৮) প্লট নেওয়ার অভিযোগে ঝিনাইদহের প্রাক্তন সংসদ সদস্য শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেয় দুদক। চলতি সপ্তাহে দুদকের উপ-পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।
২০০৫ সালে রাজউকে মিথ্যা হলফনামা দিয়ে বনানীতে পাঁচ কাঠার প্লট গ্রহণ করেন শহীদুল ইসলাম। সেখানে তিনি আটতলা ভবন নির্মাণ করেন। অথচ রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার আগে রাজধানীর মধ্য পাইকপাড়ায় তার মালিকানাধীন নয়তলা ভবনের (নাজনিন গার্ডেন) কথা রাজউকে দেওয়া হলফনামায় গোপন করেছেন। দুদকের অনুসন্ধানে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে মামলার অনুমোদন দেয় কমিশন।
রাজউক আইন অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের যদি নিজস্ব প্লট থাকে তাহলে তিনি রাজউক থেকে প্লট নিতে পারবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৫
এডিএ/এএসআর
** সাবেক এমপি শহীদুলের বিরুদ্ধে মামলা করছে দুদক