ঢাকা: যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াত আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই নিষিদ্ধ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। এ সংক্রান্ত আইনি প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হানিফ এ কথা জানান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, হাইকোর্ট ইতোমধ্যে জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছে। তাদের নিবন্ধন বাতিল করেছে। এটা এখন আপিল বিভাগে আছে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। আপনারাও (সাংবাদিক) জেনে থাকবেন, ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রীও আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে রাজনৈতিকভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরুর কথা বলেছেন। আমরাও আশা করছি, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
তিনি বলেন, এ দেশের জনগণ চায় যুদ্ধাপরাধীর দল হিসেবে জামায়াত নিষিদ্ধ হোক। জনগণ যেটা চায় সেটা হবে।
যুদ্ধাপরাধী মুজাহিদের ফাঁসির রায় সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখায় জামায়াত বৃহস্পতিবার হরতাল ডেকেছে, কিন্তু এ হরতাল জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, হরতালে জনজীবন স্বাভাবিক আছে। জনগণ তাদের হরতাল প্রত্যাখ্যান করেছে। খালেদা জিয়া ও জামায়াত অনেকবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি। দেশবাসী এই বিচার চায়, এটা বুঝতে পেরে ফাঁসির রায়ের পরও তারা নিশ্চুপ হয়ে আছে।
দিনাজপুরে বুধবার ইতালির নাগরিকের ওপর হামলার ঘটনাকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করার আরেকটি চেষ্টা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, কার্যনির্বাহী সদস্য এ কে এম এনামুল হক শামীম, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৫/আপডেট ১৫১২ ঘণ্টা
এসকে/এইচএ/