ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদেশে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারায় রাষ্ট্র ও এর সৃষ্টির বিরুদ্ধে নিন্দা অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আদেশে উল্লেখ করেন যে, দণ্ডবিধির ১২৩ (ক) ধারার অপরাধ আমলে গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকারের পূর্বানুমতি গ্রহণ করা আবশ্যক। ঘটনার গুরুত্ব ও স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করে অভিযোগের সত্যতা উদঘাটনের লক্ষ্যে তদন্তের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক। তাই সরকারের অনুমতি গ্রহণ সাপেক্ষে মামলায় বর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নয় এমন কর্মকর্তা দ্বারা অভিযোগের তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে শাহবাগ থানাকে নির্দেশ দেওয়া হলো।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে। ’
খালেদা জিয়ার উক্ত বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু উক্ত বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। যা দণ্ডবিধি ১২৩(ক) ধারার অপরাধ।
একই ঘটনায় গত ২৪ ডিসেম্বর নড়াইলের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খালেদা জিযার বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫/আপডেট:১৭২৯ ঘণ্টা
এমআই/জেডএস
** খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা, আদেশ দুপুরে
** খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা