গুলশান থেকে: আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে সরকার সব আয়োজন সম্পন্ন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তবে এরপরও শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে বিএনপি প্রধান গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছে। তারা জঙ্গি দমন না করে বিরোধীদল দমনে শক্তি প্রয়োগ করছে। আসন্ন পৌর নির্বাচনে আবারও সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে স্বাধীনতাযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অভিবাদন জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, আমি বিদেশে গেলে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়, আমি আদৌ দেশে ফিরবো না। আমি বরাবরই বলেছি যে, দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই। বাংলাদেশই আমার একমাত্র ঠিকানা।
তিনি বলেন, দেশে উদ্বেগজনক কিছু ঘটনা ঘটে চলেছে। বিদেশিরা আক্রান্ত হচ্ছে। ভিন্নমতের মানুষের ওপর সশস্ত্র চোরাগোপ্তা হামলা চলছে। ধর্মীয় সমাবেশ, মসজিদ ও অন্যান্য উপাসনালয় আক্রান্ত হচ্ছে। নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরেও ঘটছে বোমা হামলার মতো সন্ত্রাসী ঘটনা। এসবের পেছনে কারা জড়িত তা নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে পরস্পরবিরোধী নানামুখী বক্তব্য আসছে। দেশবাসীর সঙ্গে আমরাও এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন।
বিএনপি প্রধান অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল মেয়াদের শাসনকালে দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিলো। তারা সেই জঙ্গিদের দমন না করে বিরোধীদলের ওপর দোষ চাপিয়ে নির্যাতন চালাবার পথ বেছে নিয়েছিলো। আমরা পরবর্তীকালে সেই জঙ্গিবাদকে সাফল্যের সঙ্গে দমন করতে পেরেছিলাম। বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় জঙ্গিবাদীরা এখন আবারও নতুন শক্তিতে সংগঠিত হয়েছে কি-না এবং তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছে কি-না, তা নিয়ে সবখানে সংশয় ও উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
এ ধরনের বিপদকে সম্মিলিতভাবে এবং জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির মাধ্যমে মোকাবিলা করতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, চার দিকের অশুভ আলামত ও বিপজ্জনক সব হামলার ঘটনার ব্যাপারে আমি সকলকে সতর্ক ও সজাগ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশে যেন কোনোভাবেই নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সে দিকে সকলকে নজর রাখতে বলবো।
পৌরসভা নির্বাচনের বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, এখন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এই নির্বাচনটি খুবই তড়িঘড়ি করে ঘোষণা করা হয়েছে। রেওয়াজ থাকা সত্ত্বেও সময় স্বল্পতার অজুহাতে ইলেকশন কমিশন এ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কোনো আলাপ-আলোচনার প্রয়োজনবোধ করেনি। অথচ এবারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে। জাতীয় নির্বাচনের দলীয় প্রতীক এই স্থানীয় নির্বাচনে মেয়র প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া খুবই প্রয়োজন ছিলো বলে আমরা মনে করি। দেশবাসী দেখেছেন, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন বছরের পর বছর ধরে অনুষ্ঠিত না হলেও সে ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। শাসক দলের সুবিধাজনক সময়ের জন্য তারা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছে। আমাদের দলের পক্ষ থেকে আমরা পৌর নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মাত্র ১০ দিন পিছিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু খোঁড়া যুক্তি তুলে নির্বাচন কমিশন তা মানেনি।
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির ব্যাপারে কমিশন অনাগ্রহও প্রকাশ করেছে অভিযোগ করে খালেদা জিয়া বলেন, এরমধ্যেই এটা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, আসন্ন পৌর নির্বাচনকেও প্রহসনে পরিণত করার সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে। বিরোধীদলের অফিস ও প্রার্থীর ওপর হামলা, সমর্থকদের হত্যা, প্রচারণায় বাধা দেওয়া, ভয়-ভীতি প্রদর্শন, গ্রেফতার ও হুমকি চরম আকার ধারণ করেছে। বিরোধীদল সমর্থক ভোটার ও সম্ভাব্য এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাসী ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণীর সদস্যকে এই অপকর্মে ব্যবহার করা হচ্ছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে, সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। ভোটকেন্দ্র দখলের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। শাসক দলের মন্ত্রী-এমপিরা নির্বাচনী আচরণবিধি বেপরোয়াভাবে লঙ্ঘন করে চলছেন। এর কিছু কিছু খবর সংবাদ-মাধ্যমে প্রচারিত হলেও মামুলি কারণ দর্শানো নোটিশ এবং তারপর লোক দেখানো দুঃখ প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন দায় সারছে।
ক্ষমতাসীনদের আচরণবিধি লঙ্ঘনরোধে ইসির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে তাদের অসহায়ত্ব ও অক্ষমতাই প্রকাশ করেছে বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।
এসময় বিরোধীদলের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেওয়া হয়নি এবং প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিএনপি প্রধান বলেন, এই প্রক্রিয়ায় ৭ জন মেয়র ও ১শ’৩২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সাম্প্রতিক মন্তব্য বিষয়ে খালেদা বলেন, বর্তমান অদ্ভুত সরকারের ‘তথাকথিত’ বিরোধীদলের এক নেতা, যিনি আবার প্রধানমন্ত্রীরও দূত, তিনি বলেছেন যে, ভোটের দিন সকাল ৯টার মধ্যেই ভোট শেষ হয়ে যাবে। এক মন্ত্রীও বলেছেন যে, ভোট হওয়ার আগেই নাকি বিএনপি’র পরাজয় নিশ্চিত হয়ে গেছে। এসব কথা থেকেই সকলের সামনে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, পৌর নির্বাচনকে কী ধরণের প্রহসনে পরিণত করার পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। এই নাজুক পরিস্থিতিতে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি করেছি।
বিএনপি প্রধান বলেন, এবারেই প্রথম মেয়র নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনটি পরিপূর্ণভাবে দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারছেন না। একটা জগাখিচুড়ি ব্যবস্থায় নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, এর পেছনে সরকারের ঘোর দুরভিসন্ধি রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি। কারণ জাতীয় দাবি ছিল নির্বাচনটি হতে হবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। এর আগে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানটি সংবিধান থেকে বিলুপ্ত করা হয়। সৃষ্টি হয় নজিরবিহীন রাজনৈতিক সংকট। সেই সংকটের মধ্যেই প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জিত এবং ভোটারবিহীন সেই ‘তথাকথিত’ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে বিদায়ী সংসদ বহাল রেখেই। স্বাভাবিকভাবেই সেই নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ ৫ শতাংশের বেশি ছিল না। এই নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। ফলে ক্ষমতাসীন সরকারের নৈতিক বৈধতার সংকট রয়ে গেছে। এই সংকট কাটাতে প্রয়োজন একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় ব্যবস্থার অধীনে সবার অংশগ্রহণমূলক নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ তোলেন, তারা এই নির্বাচনে অনিয়মের মাধ্যমে ফলাফল পাল্টে দিয়ে দেশবাসী এবং পৃথিবীকে দেখাতে চায় যে, তাদেরও জনপ্রিয়তা আছে। সেই অসৎ উদ্দেশ্যেই আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রশাসন ও পেশিশক্তি ব্যবহার করে তারা নির্বাচনী ফলাফল ছিনতাই করতে চায়। নির্বাচনকে তারা আবারো হুন্ডা-ডান্ডা-গুন্ডার নির্বাচনে পরিণত করেছে। এবার পৌর নির্বাচনেও তার পুনরাবৃত্তির পাঁয়তারা চলছে। দেশবাসীর প্রতি আমার আহ্বান, আপনারা সবাই মিলে দলে দলে ব্যাপক সংখ্যায় ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে সর্বশক্তি দিয়ে নিজেদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। যারা আপনাদের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, যারা আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপকৌশলে সরিয়ে দিয়েছে, তাদের ভোট চাইবার কোনো অধিকার নেই। জনতার ঐক্যবদ্ধ শক্তি যেকোনো স্বৈরশাসকের অসৎ উদ্দেশ্যকে ব্যর্থ করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আমরাও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী যুদ্ধে অবিচল থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শাসক দল নির্বাচনের ওপর অশুভ প্রভাব বিস্তারের যে পরিকল্পনা করেছে তা শান্তিপূর্ণ পন্থায় ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ান।
তিনি বলেন, বিএনপি স্থানীয় সরকারের প্রতিটি নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করে আসছে। পাঁচটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিল। এসব নির্বাচনকে দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখিয়ে শাসক দল বলেছে যে, তারা নির্বাচনে কারচুপি করে না। মনে রাখা দরকার, এই নির্বাচনগুলো হয়েছিল জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসার আগে। সেই সময় সরকার দেখাতে চেয়েছিল যে, তাদের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিরোধীদল যেন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল দেখে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়।
খালেদা অভিযোগ করেন, সাংবাদিকরা যেন নির্বাচন চলাকালে তাদের পেশাগত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে না পারেন তার জন্য নানা ধরনের অপচেষ্টা চলছে। সরকার বিকল্প মিডিয়ার ওপরও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে। ফেসবুক ও টুইটারের মতো সামাজিক মিডিয়া ও যোগাযোগ নেটওয়ার্কের উপরও খবরদারি করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, সরকারের নিষ্ঠুর দমননীতির ফলে আমাদের বহু নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। অনেকে গুম হয়েছেন। তাদের স্বজনেরা, মায়েরা ও বোনেরা গুম হয়ে যাওয়া সন্তান ও ভাইদের ছবি বুকে ধারণ করে আহাজারি করছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বীরের এই রক্তস্রোত, মায়ের এই অশ্রুধারা কখনো বৃথা যাবে না।
দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং লুটপাটের মহোৎসব চলছে বলেও অভিযোগ তোলেন বিএনপি প্রধান।
তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করতে না পারলে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা ও স্বাধীনতার প্রত্যাশাই অপূর্ণ থেকে যাবে। তাই আজ আবার আমাদের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার এক কঠিন সংগ্রামে নিয়োজিত হতে হয়েছে। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসাবেই আমরা আসন্ন পৌর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ হয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি'র (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মর্তুজা, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মজিবুর রহমান পেশোয়ারী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাঈদ আহমেদ, জমিয়তে উলামা ইসলামের নেতা মাওলানা মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫/আপডেট ১৭৪৬ ঘণ্টা
এমএম/এমএ/এইচএ
** পৌর নির্বাচনে ফের সেনা মোতায়েন দাবি খালেদার