ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদার বাড়ি ঘেরাও

সংসদে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
সংসদে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করা হবে ছবি: শোয়েব মিথুন- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, খুব শিগগিরই জাতীয় সংসদে ‘মুক্তিযুদ্ধ অস্বীকার অপরাধ আইন’ প্রণয়নের প্রস্তাব করা হবে। এতে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যারা বিভ্রান্তিকর তথ্য দেবেন বা কথা বলবেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।



মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ডাকে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তারানা হালিম বলেন, খালেদা জিয়া ও তার নেতাকর্মীরা ক্রমাগতভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছেন। আমরা অনেক সহ্য করেছি। আর সহ্য করার সময় নেই।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদার কটূক্তির প্রতিবাদে তার বাসভবন ঘেরাওয়ের এ কর্মসূচি পালন করছে নির্মূল কমিটি। সকাল সোয়া দশটা থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষসহ নির্মূল কমিটির নেতাকর্মীরা গুলশান-২ গোল চত্বরে অবস্থান নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তি করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি চলছে সমাবেশ।

তবে এ সমাবেশকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে ডিএমপি কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়েছে। সকাল থেকেই গুলশান-২ গোল চত্বর মোড়ে ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রাস্তার দুই পাশে তিন স্তরে অবস্থান নিয়ে দাঁ‍ড়িয়ে আছেন পুলিশ সদস্যরা।

ঘেরাও সমাবেশে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিএনপির নেতারা যে কটূক্তি করেছেন, তার জন্য তাদের জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতাকে যারা অস্বীকার করেন, তারা বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন। এজন্য আইন তৈরি করে এই দেশদ্রোহীদের বিচারের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হবে।

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের রক্ত অস্বীকার করেছে বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত। এ অপরাধের জন্য জনগণের কাছে তারা ক্ষমা না চাইলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি দেবো।

মুক্তিযোদ্ধা ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী বলেন, খালেদাকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি না। তিনি পাকিস্তানের প্রেতাত্মা। খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন না। তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও দেশদ্রোহের মামলা হওয়া উচিত।

দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই খালেদা জিয়া নাকি আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হয়ে তিনি আমাদের দেশের অনেক অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন। দেশের জনগণ তাকে বর্জন করেছে।

গত ২১ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানসহ পুরো মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই নানা কটূক্তি করেন তিনি।

** পুলিশের তিন স্তরের নিরাপত্তা

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৫
এসজেএ/জেডএফ/আরএম/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।