ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গণির মরদেহ স্কয়ার হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে (বাড়ি-৮২৩, রোড-৯/এ) নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার পর হাসপাতাল থেকে মরদহ নিয়ে বাসার উদ্দেশে রওয়ানা হন দলীয় নেতাকর্মী ও তার স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মরদেহ দেখতে ধানমন্ডির বাড়িতে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাকর্মী, বন্ধু, শুভাকাঙ্খী ও আত্মীয়-স্বজনরা।
মরদেহ দেখে ফেরার পথে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ড. আর এ গণি একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি মানুষের পাশে থাকতেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন ভালো নেতাকে হারালো। তিনি আর এ গণির আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
বিএনপির এ নেতার তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। বড় মেয়ে আমেরিকা প্রবাসী ইয়াসমিন ফারুক বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।
এছাড়া মেঝ মেয়ে রওনক খান, ছোট মেয়ে শারমিন গণি ও একমাত্র ছেলে নূরাইন গণি বাবার মৃত্যুর সময় পাশে ছিলেন।
আর এ গণির মরদেহ বাসা থেকে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের ইদগাহ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে বাদ জুম্মা দুপুর আড়াইটায় নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে জানাজা শেষে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হবে। বিকেলে ড. গণির মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বুধবার (০৬ জানুয়ারি) ড. আর এ গণি হৃদরোগ, কিডনিসহ বিভিন্ন সমস্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে ধানমন্ডির স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) রাতে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমএম/আরইউ/বিএস
** আর এ গণির মৃত্যুতে গাইবান্ধায় ৩ দিনের কর্মসূচি
** ড. আর এ গণির দাফন বিকেলে
** চলে গেলেন বিএনপি নেতা ড. গণি
** স্কয়ার হাসপাতাল মর্গে আর এ গণির মরদেহ
** স্ত্রীর কবরে শায়িত হবেন আর এ গণি
** ড. আর এ গণি’র মৃত্যুতে খালেদা ও ফখরুলের শোক
** আর এ গণি লাইফ সাপোর্টে
** নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে বিএনপি নেতা ড. গণি