ঢাকা: চলতি মাসের ১১ ও ১২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদরাসা ছাত্রদের তাণ্ডবের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতে ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করতে ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, রাতভর মাদরাসা ছাত্ররা রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে, মাদরাসার সামনে ও ওপর থেকে ইট-পাটকেল, ককটেল ছুড়ে নারকীয় পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
নিহত মাদরাসা ছাত্রের ওপর হামলা হয়নি। শেষ রাতের দিকে চারতলা থেকে এক ছাত্র পড়ে আহত হয় এবং পরে তার মৃত্যু হয় বলেও দাবি করেন উবায়দুল মোকতাদির।
এ ঘটনায় প্রতিরোধ না করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্লিপ্ত ছিল। জেলা আওয়ামী লীগ থেকে প্রশাসনকে বারবার বলা হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ছাত্রদের সাথে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা কোনো প্রকার উস্কানি ছাড়াই তাণ্ডব চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৭০ কোটি টাকা। কিন্তু ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ’র যে নির্দশন ধ্বংস করা হয়েছে তা টাকার অঙ্কে পরিমাপ করা যাবে না।
হামলায় বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই দিন বিএনপির প্রায় ৩৩ জন নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত হয়েছেন। ছাত্রদের সাথে বিএনপির সেই নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছেন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগ হামলার সাথে জড়িত ছিল- এ তথ্য মিথ্যা দাবি করে উবায়দুল মোকতাদি বলেন, আমরা দলীয়ভাবে সংযত ছিলাম। তা না হলে সেদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রণক্ষেত্রে পরিণত হতো।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সহ-সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মঈন উদ্দিন মঈন উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৬
আরইউ/এসএ/এমজেএফ