ঢাকা: ‘উপমহাদেশের পিছিয়ে থাকা মুসলিমদের সামাজিক-অর্থনৈতিক মুক্তিদাতা হচ্ছেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ। ’
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ’র ১০১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভায় এ কথা বলেছেন, সাবেক সচিব ও অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মার্গুব মোরশেদ।
এতে সভাপতিত্ব করেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ মেমোরিয়াল কমিটির সভাপতি সৈয়দ নাসরুল আহসান।
বক্তব্য রাখেন নবাব বাড়ির সদস্য এমরান আহসান ও খাজা কামেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হায়দার আলী প্রমুখ।
খাজা কামেন বলেন, এদেশের পিছিয়ে থাকা মুসলিমদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য নবাব স্যার সলিমুল্লাহ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন। সর্বোপরি শাসন ক্ষমতায় যেতে ১৯০৬ সালে নবাব সলিমুল্লাহ মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ঢাকায় ওই সম্মেলনে শেষ দিনে এসে যোগ দিয়েছিলেন মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
তিনি বলেন, সাহসী নবাব তাঁর ৪৪ বছরের জীবনে ১৫ বছর রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। নবাব প্যারিসও গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বিপ্লবী নেতা হো-চি-মিনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন।
এমরান আহসান দুঃখ করে বলেন, নবাব বাড়ির বর্তমান সদস্য সংখ্যা আড়াই হাজার। তারা নবাব বাড়ির সম্পদ ভোগ দখল করছে। কিন্তু নবাবকে কেউ স্মরণ করেন না।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, শিল্পপতি জহুরুল ইসলাম নবাব বাড়ির সম্পদ কুক্ষিগত করতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারণে সে চেষ্টা সফল হয়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এসএস/আরআই