ঢাকা: দলকে সুসংগঠিত করার জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে তার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
রওশন এরশাদ বিবৃতিতে বলেছেন, জাতীয় পার্টি সংসদীয় গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এবং জাতীয় সংসদে বিরোধীদল হিসেবে সোচ্চার ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলছে। এমন একটি সু-প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলের চেয়ারম্যান হিসেবে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, পার্লামেন্টারি পার্টি এবং প্রেসিডিয়াম সভার আলোচনা ছাড়াই কো-চেয়ারম্যান অর্থাৎ ভবিষ্যৎ পার্টির চেয়ারম্যান ও মহাসচিব পদসহ পার্টির গুরুত্বপূর্ণ ২টি পদে যে পরিবর্তন করেছেন যা রাজনৈতিক দলের নীতিসিদ্ধ নয় ও অগণতান্ত্রিক।
জাতীয় পার্টি একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে দেশের সর্বস্তরের জনগণ ও দেশের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। জাতীয় পার্টির মতো পুরাতন দলের বৃহত্তর ঐক্য বজায় রাখার লক্ষ্যে দলের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে নেতৃত্ব পরিবর্তন, পরিবর্ধন এবং পরিমার্জন করার ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী বিভিন্ন কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তা করা উচিত বলে অভিমত প্রকাশ করেন রওশন এরশাদ।
জাতীয় পার্টির বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে এবং এ দলকে ভবিষ্যতে আরো সুসংগঠিত ও সুসংহত করার লক্ষ্যে পার্টিতে কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নিয়োগ নিয়ে দেওয়া নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে পার্টির চেয়ারম্যান তা পুনর্বিবেচনা করবেন বলেও এ সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন রওশন এরশাদ।
একই সাথে তিনি বলেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে পার্টিতে ও জনমনে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে সেটি সঠিক নয়, কারণ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিয়ে যৌথসভায় এ ধরনের কোন আলোচনা হয়নি।
গত রোববার (১৭ জানুয়ারি) রংপুর এক কর্মীসভায় ছোট ভাই জিএম কাদেরকে পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবং ভবিষ্যত নেতা হিসেবে ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে কাউন্সিলের জন্য জিএম কাদেরকে আহ্বায়ক ও সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারকে সদস্য সচিব করে কমিটি ঘোষণা করেন।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সিনিয়র নেতারা। পরদিন সোমবার বিকেলে প্রেসিডিয়াম ও পার্লামেন্টারী কমিটির বিশেষ বৈঠকে রওশন এরশাদকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। তৃতীয় দিন মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর থেকে ফিরে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুকে সরিয়ে দিয়ে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মহাসচিব নিযুক্ত করেন।
এসব সিদ্ধান্তের কারণে মঙ্গলবার পার্লামেন্টারি পাটির মিটিংয়ে তোপের মুখে পড়েন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সংসদ ভবনে (১৯ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ৩টায় রওশন এরশাদের সভাপতিত্বে বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে এরশাদ ১৫ মিনিট পর যোগ দিলেও বেরিয়ে যান খানিকটা আগেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এসআই/আরআই