ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির জের ধরে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা আইনগতভাবে মোকাবেলা করবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতির কার্যালয়ে তিনি বলেন,‘খালেদা জিয়ার ওপর সমন আদালত দিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন আদালতের এ সমনের বিষয়ে জ্ঞাত আছেন। তিনি সমন গ্রহণ করেননি, কিন্তু মামলা মোকাবেলা করবেন। ’
খন্দকার মাহবুব হোসেন আরও বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইনগতভাবে যা যা করা দরকার তা তিনি করবেন। তারাই (সরকার) এটি নিয়ে রাজনীতি করছে। এ মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহের কোনো উপাদান নেই’।
গত বছরের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এতো লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, ‘তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না’।
খালেদা জিয়ার এমন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে এ বক্তব্য প্রত্যাহার করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী।
কিন্তু নোটিশের জবাব না পাওয়ায় খালেদার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মেহেদী। ২১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পান মেহেদী। এরপর সোমবার (২৫ জানুয়ারি) আদালতে মামলার পর ওই দিন খালেদার বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। খালেদা জিয়াকে আগামী ৩ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা দিতে বলেছেন আদালত।
পরদিন মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার সমন গ্রহণ না করায় আদালতের কর্মকর্তারা সেটি খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র ফটকে লাগিয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৬
ইএস/এএসআর