ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঐতিহাসিক

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৬
মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আদালতের রায় ঐতিহাসিক

ঢাকা: প্রধান বিচারপতি এবং বিচারাধীন বিষয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ঐতিহাসিক রায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।  

রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আদালতের রায়ের পর এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

  

এর আগে রোববার সকালে আদালত অবমাননার মামলায় সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে দোষী সাব্যস্ত করে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। অনাদায়ে তাদেরকে ৭ দিনের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা মনে করি আদালতের এই রায়ের পরে দুই মন্ত্রীর তাদের মন্ত্রণালয়ে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। নৈতিকতার কারণে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে তাদের পদত্যাগ করা উচিৎ।

মন্ত্রীরা তো আরো আইনি সুযোগের কথা বলছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, নৈতিকভাবে আইনি সুযোগ খোঁজা একেবারেই সঠিক হবে না। সর্বোচ্চ আদালত এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আইনি লড়াইয়ের আর কোনো সুযোগ আছে বলে মনে হয় না।
 
আপনারা কি চান মন্ত্রীদ্বয় এখনই পদত্যাগ করুক, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে চাওয়ার বিষয় নয়। এটা নৈতিকতার বিষয়। ডেমোক্রেসি ও নৈতিকতা ডিমান্ড করে যখন সর্বোচ্চ আদালত সাজা দেবেন তখন মন্ত্রী হিসেবে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ফাঁসির আদেশ পাওয়া মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনরায় শুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হকও প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৬
এমএম/বিএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।