ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ব্লগার হত্যা হলেই গণতন্ত্র চলে যায় না: ইনু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০১৬
ব্লগার হত্যা হলেই গণতন্ত্র চলে যায় না: ইনু ছবি: পিয়াস-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ‘কয়েকটি বিচ্ছিন্ন হত্যাকাণ্ড বা ব্লগার হত্যা হলেই গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যায় না, গণতন্ত্র কোনো কাচের গ্লাস নয়’- বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, বিচ্ছিন্ন কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, ব্লগার হত্যার পর ‘গণতন্ত্র গেল’ বলে যারা শোরগোল করেন, তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, গণতন্ত্র কোন কাচের গ্লাস নয়, এত ঠুনকো নয় যে, এতেই ধ্বংস হয়ে যাবে।

প্রয়াত সাংবাদিক আজিজুল হকের স্মৃতিতে শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) বিকেলে এক স্মরণসভার আয়োজন করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। সেগুনবাগিচায় সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ আয়োজনে আজিজুল হকের পরিবারকে তিন লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

ইনু বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম চাপের মুখে- বিদেশিদের এ প্রতিবেদন মিথ্যা অপপ্রচার ও উদ্দেশ্যমূলক। এসব কিছু কোন সত্য তথ্যের ভিত্তিতে নয়। জঙ্গি তৎপরতা থেকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিরাপদ রাখতে সরকারের তৎপরতাকে বিতর্কিত করতে এটি করছে তারা।

বাংলাদেশ এখন ইউরোপ-আমেরিকার চেয়েও নিরাপদ বলে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, জঙ্গি তৎপরতা বাংলাদেশের চেয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় অনেক বেশি। বাংলাদেশ জঙ্গি দমনে ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে বেশি সফল। সেসব দেশের চেয়ে বাংলাদেশ জনবহুল রাষ্ট্র হিসেবে অনেক বেশি নিরাপদ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ড বারাক ওবামাকে বাংলাদেশ নিয়ে মাথা না ঘামাতে আহ্বান জানান ইনু। তিনি বলেন, আপনি (বারাক ওবামা) কিছু বলার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা একবার দেখে নিন।

মন্ত্রী আরও বলেন, সাংবাদিকদের কল্যাণে একটি বড় ধরনের তহবিল গঠনের চেষ্টা চলছে। শুধু অস্বচ্ছলতায় নয়, সার্বিক কল্যাণে কাজ করবে এটি সমবায় প্রতিষ্ঠানের মতো। বহুবিধ বিষয়ে এ কল্যাণ ট্রাস্ট কাজ করবে। ওয়েবসাইটে এ ট্রাস্টের সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। সদস্যদের বিপদে পাশে থাকবে এ ট্রাস্ট।

এ সময় প্রয়াত ক্রীড়া সাংবাদিক আজিজুল হকের কাজ ও নিষ্ঠার প্রশংসা করেন হাসানুল হক ইনু।

ডিআরইউ সভাপতি জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি শফিকুল করিম, সিনিয়র সদস্য কাশেম হুমায়ূন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।

জামাল উদ্দিন বলেন, আজিজুল হক নিজের কর্মপ্রতিষ্ঠান থেকে বাকি-বকেয়া পাননি। এটি খুব দুঃখের ব্যাপার। সাংবাদিকদের এটি খুব কষ্টের জায়গা। তারা নানাভাবে নিজের কর্মস্থলেই বঞ্চনার শিকার হন। ডিআরইউ যদিও কোনো বার্গেইনিং- এর কাজ করে না, তবু সদস্যদের জন্য যতটা সম্ভব করতে চায়।

স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন আজিজুল হকের দুই ছেলে- তানভীর ও ফয়সাল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০১৬
এসকেএস/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।