ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জাতিকে মেধাশূন্য করতেই শফিক রেহমানকে গ্রেফতার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬
জাতিকে মেধাশূন্য করতেই শফিক রেহমানকে গ্রেফতার সংগৃহীত

ঢাকা: দেশ ও জাতিকে মেধাশূন্য করে ক্ষমতা পাকাপোক্তের জন্যই প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রীর কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ঢালী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রমৈত্রীর সাবেক সভাপতি জহিরুল ইসলাম বাবু ও ভাসানী স্মৃতি সংসদের সহ-সভাপতি ন্যান্সি রহমানের বিএনপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।


 
খালেদা জিয়া বলেন, শফিক রেহমানের লেখনীতে তাদের গায়ে জ্বালা ধরতো। তাই মিথ্যা মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পর কয়েক ঘণ্টা শফিক রেহমানের কোনো খোঁজ ছিল না। কিন্তু যখন তারা বুঝতে পেরেছে- বিষয়টি নিয়ে অনেক হৈ চৈ হবে, আন্তর্জাতিকভাবে অনেক কথা হবে, তাই তারা গ্রেফতারের বিষয়টি স্বীকার করেছে।
 
আওয়ামী লীগকে দৈত্য’র সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, এরা মানুষ খেকো, এদের হাতে কেউ নিরাপদ নয়। যারাই একটু প্রগ্রেসিভ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার, তাদেরই এরা হত্যা করে, ধরে নিয়ে যায় অথবা গুম করে ফেলে। এই দৈত্যদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে।
 
সাংবাদিক মাহমুদর রহমান, শওকত মাহমুদ, ইটিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, রাজনীতিক মাহমুদুর রহমান মান্না, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানকে অন্যায়ভাবে আটক রাখা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
 
তিনি বলেন, আজকের এই ক্ষুদ্র পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের (সব সংবাদকর্মী) সবার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। তাদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া হোক।
 
বিএনপিতে যোগ দেওয়া নেতাদের স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, এই দুর্দিনে বিএনপিতে যোগদান প্রমাণ করে, তারা দেশপ্রেমিক। তারা দেশকে ভালোবাসেন বলেই বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। কারণ, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্য বিএনপি ছাড়া আর কোনো দল এই মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই।
 
‘বিএনপিতে তাদের এই যোগদান আমাদের আরও অনুপ্রাণিত করবে। আমাদের আন্দোলন আরও বেগবান হবে,’ বলেন খালেদা জিয়া।
 
তিনি বলেন, আমাদের দাবি খুব ছোট এবং সহজ। আমরা আওয়ামী লীগ ও হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না। ক্ষমতা নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ছেড়ে দিয়ে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে নির্বাচন দিতে হবে। এ দাবিতে আমরা এখনও অটল।
 
মামলা মোকদ্দমা দিয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন দলটির চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া।
 
তিনি বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বিএনপিকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তৃণমূল হলো বিএনপির শক্তি। আমরা সবাই মিলে বিএনপির হাল ধরেছি। কেউ বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারবে না।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী।
 
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএনপির অর্থনীতি বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আবদুস সালাম।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০১৬/আপডেট ০০১৬
এজেড/আইএ

** বিএনপিতে যোগ দিলেন ঢালী, বাবু ও ন্যান্সি রহমান

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।