গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এজেডএম সাজেদুল ইসলাম স্বাধীনের (নৌকা) নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে নির্বাচনী পোস্টার ও বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
দামোদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ২ নম্বর ইউনিটের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল তার লোকজন নিয়ে এ ভাঙচুর করেন বলে দাবি করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে দামোদরপুর ইউনিয়নের কান্তনগর বাজারে অবস্থিত নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে এ হামলা হয়।
দামোদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানন, আগামী ৭ মে চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল নৌকা প্রতীক সমর্থন না করে লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থন করছেন। সোমবার বিকেলে এ নিয়ে তিনিসহ কয়েকজন নেতাকর্মী রাজ্জাক মন্ডলকে নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করতে বলেন। কিন্তু রাজ্জাক মন্ডল এতে রাজি না হয়ে তাদের গালিগালাজ করেন।
এর জের ধরে আব্দুর রাজ্জাক মন্ডল তার ছেলেসহ লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকদের নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে এসে হামলা চালান। এসময় অফিসে থাকা নির্বাচনী পোস্টার ও বেশ কিছু চেয়ার ভাঙচুর করা হয়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দামোদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক নাসিরুল ইসলাম রানা বলেন, গালিগালাজ করার বিষয়ে কথা বলতে রাজ্জাক মন্ডলসহ তার লোকজন নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে যান। কিন্তু সেখানে থাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলামসহ দলীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে তাদের অফিস থেকে তাড়িয়ে দেন। লাঙ্গল সমর্থকদের ওপর দোষ চাপাতে তারা নিজেরাই চেয়ার ভাঙচুর করেছেন।
লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুন্নবী আকন্দ অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার পরপরই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছামছুল আলম ডাবুল ও আওয়ামী লীগ কর্মী রওশন আলম মন্ডল লাঙ্গল প্রতীকের অফিসে ঢুকে একটি লাঙ্গল প্রতীক বের করে সড়কের উপরে আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেলেন। এছাড়া ঘটনার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার লাঙ্গল প্রতীকের সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) আবু রায়হান দোলন জানান, খবর পেয়ে তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুন্নবী আকন্দকে মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনার দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তার নিকট জরিমানা করা হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছামছুল আলম ডাবুল ও আওয়ামী লীগ কর্মী রওশন আলম মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, আবদুর রাজ্জাকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৬
এইচএ/