ঢাকা: সদ্য প্রস্তাবিত বিশাল অংকের এ বাজেটে স্বপ্নের কথামালার ফুলঝুড়ি রয়েছে, বাস্তবতার সঙ্গে এর কোনো মিল নেই। বরং সাধারণ মানুষের ওপর করের বোঝা বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৪ জুন) রাজধানীর ব্র্যাক ইন সেন্টারে ‘বাজেট ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের পর্যালোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন।
এমবিএ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এটা জনগণের সরকার নয়, অবৈধ সরকার। নির্বাচনের নামে নাটক করে, জোর করে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণের কথা চিন্তা না করে সরকারের বিশেষ মহলের প্রত্যাশা পূরণ ও নিজেরা লুটপাট করার লক্ষ্যে এ বাজেট তৈরি করা হয়েছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল করির রিজভী বলেন, এ বাজেট বাস্তব বিবর্জীত ও স্বপ্নময়। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ বাজেট সমতার ভিত্তিতে হয়নি। এতে শুধু কথার ফুলজুড়ি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বাস্তবে জনগণের জনকল্যাণের জন্যে এ বাজেটে কিছুই নেই।
তিনি বলেন, এ বাজেট প্রত্যক্ষ করের উপর বেশি নির্ভরশীল। এর ফলে ভোক্তাদের মোট করের ৭১ শতাংশ দিতে হবে গরিব লোকদের। যারা একবার করের খাতায় নাম লেখিয়েছেন তাদের ওপর কর দ্বিগুণ করা হয়েছে। এসময় সরকারের আর্থিক কাঠামোতে গলদ রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কোনো রকম জবাবদিহিতা ছাড়াই অদ্ভুত ভাবে চলছে ব্যাংক খাত। আর সরকারি লোকদের লুটের সুবিধার জন্য প্রতিবছর বাজেট থেকে মূলধন পূরণে টাকা দেওয়া হচ্ছে। আগের বছর দেওয়া হয়েছিলো ৫ হাজার কোটি টাকা এ বছরের বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে আরো ২ হাজার কোটি টাকা। অপরদিকে পুঁজিবাজারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আল্লাহর ওয়াস্তে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক মুস্তাহিদুর রহমান বলেন, সরকারের এ বাজেট গতানুগতিক। হয়তো আগামী বছরের বাজেট আরো বড় হবে।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক প্রধান নির্বাহী পরিচালক (সিইও) সৈয়দ নাসের আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমগীর। অনুষ্ঠানে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাকিল ওয়াহিদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৬
এমএফআই/আরএ