ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঈশ্বরদীতে আ’লীগের দু’গ্রুপে গুলি বিনিময়-ভাঙচুর, আহত ৪৫

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
ঈশ্বরদীতে আ’লীগের দু’গ্রুপে গুলি বিনিময়-ভাঙচুর, আহত ৪৫

পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি বিনিময় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এসময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়েছে।

রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে ঈশ্বরদী শহরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় চারিদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে লোকজন দোকান পাট বন্ধ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি নিক্ষেপ করে।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল।

মখলেছুর রহমান মিন্টুর পক্ষে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলুর প্রত্যক্ষ সমর্থন থাকলেও এর প্রকাশ্যে বিরোধিতা করছেন পৌর মেয়র ও ভূমিমন্ত্রীর মেয়ে জামাই আবুল কালাম আজাদ মিন্টু।
 
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিমান কুমার দাস বলেন, রোববার বিকেলে ঈশ্বরদী বাজারের ১ নম্বর রেল গেটের সামনে মোখলেছুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে বের হওয়া মোটরসাইকেল বহরে অতর্কিত বোমা হামলা করে প্রতিপক্ষ আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর লোকজন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে শুরু হয় গুলি বিনিময় ও ককটেল নিক্ষেপ। এসময় অন্তত ২০ রাউন্ড গুলি, ২২/২৫টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দু’পক্ষের কমপক্ষে ৪৫ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই আটক করা সম্ভব হয়নি এবং কোন পক্ষই লিখিতভাবে অভিযোগ দেননি বলেও জানান ওসি।

এদিকে, ঘটনার পরপরই সন্ধ্যায় মখলেছুর রহমান মিন্টু ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি বলেন, পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টুর লোকজনের আমার মোটরসাইকেল বহরে হামলা করে এবং লোকজনকে মারধর করেন। এসময় অনেকে আহত হয়েছে। পরে আমার লোকজন বাধা দিলে তারা ফিরে যাওয়ার পথে শহরের ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় তারা প্রগতি চায়নিজ রেস্তোরা, প্রাইম ব্যাংকসহ রাস্তার দু’পাশের অন্তত ১৫টি দোকান ভাঙচুর করে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্যেই এ অপচেষ্টা। এসময় তার শ্বশুর ভূমিমন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে তার কোন বিরোধ নেই বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইসাহক আলী মালিথা, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ, নুরুজ্জামান বিশ্বাস, আওয়ামী লীগ নেতা মীর জহুরুল হক পুনো, আ,ত,ম, শহিদুজ্জামান নাসিম, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।