ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ করবে ছাত্র ইউনিয়ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
বুধবার সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশ করবে ছাত্র ইউনিয়ন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অব্যাহত জঙ্গি হামলা ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষরের প্রতিবাদে বুধবার (২০ জুলাই) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করবে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
 
একইসঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকে অনিয়ম ও ভর্তি বাণিজ্যের প্রতিবাদে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রীকে স্মারকলিপি পেশ ও বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।


 
সোমবার (১৮ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ এ ঘোষণা দেন।
 
গুলশান আর্টিজান রেস্তোরাঁ ও শোলাকিয়ায় হামলার নিন্দা জানিয়ে শুভ বলেন, গুলশান হামলায় ১৩ জন জিম্মিকে উদ্ধার করা হলেও জঙ্গিদের হাতে নৃশংসভাবে প্রাণ হারান ২০ জন মানুষ।
 
শোলাকিয়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাহসী তৎপরতার কারণে জঙ্গিরা তাদের বড় টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হয়। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করেন শুভ।
 
তিনি বলেন, দু’টি ঘটনাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদী তৎপরতার সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি জনসম্মুখে দৃষ্টিগোচরে নিয়ে আসে।
 
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদী তৎপরতায় জড়িয়ে পড়ার বিষয়টি ব্যতিক্রমী ও এর কারণ অনুসন্ধান জরুরি বলেও মন্তব্য করেন শুভ।
 
তিনি অভিযোগ করেন, দেশের ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। জঙ্গি ইস্যুতে সরকার সব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের পাঁয়তারা করছে।
 
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মৌলবাদকে প্রতিহত করতে অবাধ রাজনৈতিক চর্চার পথ সুগম ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান শুভ।
 
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞদের মতামতের তোয়াক্কা না করে সরকার এ প্রকল্প করছে।
 
এ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় এলাকা ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রাকৃতিক দুযোর্গ নেমে আসার আগেই এ প্রকল্প বাতিলের দাবি জানান তিনি।
 
সরকার এ প্রকল্প বাতিল না করলে জনগণকে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা ও সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি।
 
তার অভিযোগ, উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি বাণিজ্যে সারাদেশে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দিশেহারা। ঢাকা মহানগরীর কলেজগুলোতে ভর্তি ফরম আটকে জিম্মি করে টাকা নেওয়া হয়। সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতারা মানবিক বিভাগে ১০ হাজার টাকা, ব্যবসায় বিভাগে ১৫ হাজার টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগে ২০ হাজার টাকা করে ফরম বিক্রি করেন।
 
সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়গুলো জানলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
 
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি লাকী আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি লিটন নন্দী, সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।