ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ময়মনসিংহের উপ-নির্বাচন

আ’লীগ ছাড়া সবার জামানত বাজেয়াপ্ত

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
আ’লীগ ছাড়া সবার জামানত বাজেয়াপ্ত

ঢাকা: সদ্য অনুষ্ঠিত ময়মনসিংহের দুই উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সাতটি দলের মধ্যে ছয়টি দলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। নির্বাচনে সাতটি দল থেকে আটজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।


 
১৮ জুলাই (সোমবার) ময়মনসিংহ-১ (হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া) ও ময়মনসিংহ-৩ (গৌরিপুর) আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
 
মাঠ পর্যায় থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার পাঠানো ফলাফলের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের তৈরি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দু’টি উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সাতটি দল অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ছয়টি দলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
 
ময়মনসিংহ-১ আসনের মোট ভোটার ৩ লাখ ৬২ হাজার ৬৯৪ জন। এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮৩ জন ভোটার। অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটে হার ৫১ দশমিক ৭২ শতাংশ।
 
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) ৪১ ধারা অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী প্রদত্ত ভোটের আটের এক ভাগের চেয়ে কম ভোট পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর জামানত ২০ হাজার টাকা।
 
অর্থাৎ ২৩ হাজার ৪৪৮ ভোটের কম যারা পেয়েছেন তাদের জামানত বাজেয়াপ্ত।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলীমুজ্জামানের তৈরি ফলাফলের প্রতিবেদন থেকে দেখা গেছে, এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জুয়েল আরেং পেয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ২৭০ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৯০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. সোহরাব উদ্দিন খান পেয়েছেন ১ হাজার ৫৮৬ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের দশমিক ৮৫ শতাংশ। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিমা খাতুন পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৮ ভোট। যা প্রদত্ত ভোটের ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
 
এ আসনে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ৩৮৯টি ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের দশমিক ৭৪ শতাংশ। অর্থাৎ ময়মনসিংহ-১ আসনে জুয়েল আরেং ছাড়া সবার জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
 
এদিকে ময়মনসিংহ-৩ আসনের ফলাফলের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এ আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৫ জন। ভোট পড়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৯০টি। অর্থাৎ ভোট পড়ার হার ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
 
এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাজিম উদ্দিন আহমেদ পেয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৮ ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ৯৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আজিজুল হক পেয়েছেন ১ হাজার ২৩ ভোট, যা দশমিক ৮০ শতাংশ। ইসলামী ঐক্যজোটের মো. আবু তাহের খান পেয়েছেন ৬৮৮টি ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের দশমিক ৫৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি’র (ন্যাপ) মো. আব্দুল মতিন পেয়েছেন ৬৭৯টি ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের দশমিক ৫৩ শতাংশ। আর জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. শামছুজ্জামান পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭২ ভোট, যা প্রদত্ত ভোটের ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
 
এখানেও ১৫ হাজার ৯৩৬ ভোটের কম পাওয়ায় আ’লীগ ছাড়া বাকি চারটি দলের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
 
এ আসনের নির্বাচনে বাতিল ভোটের সংখ্যা ১ হাজার ২৯০টি, যা প্রদত্ত ভোটের ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ।

গত ১১ মে ময়মনসিংহ-১ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রমোদ মানকিন মৃত্যুবরণ করায় তার আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়।
 
আর গত ২ মে ময়মনসিংহ-৩ আসনের এমপি ডা. মজিবুর রহমান ফকির মৃত্যুবরণ করায় তার আসনটিও শূন্য হয়।
 
পরবর্তীতে গত ৯ জুন আসন দু’টিতে নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
 
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৪০ শতাংশ। যদিও ৩০০ আসনের মধ্যে সে সময় ভোট হয়েছিল ১৪৭টি আসনে। অবশিষ্টগুলোতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৬
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।