ঢাকা: আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যৌথসভায় জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইন-শঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানকে সমর্থন জানিয়ে নেতারা বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় আইন-শঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা সঠিক। জঙ্গিবাদ দমন নয়, নির্মূল করতে হবে।
রোববার(৩১ জুলাই) বিকেলে মহানগর নাট্যমঞ্চে বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় এ যৌথসভার আয়োজন করা হয়।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ দমন নয়, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও এনজিওকে সরকারের সরকারের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে। তবে জঙ্গিবাদ নির্মূল হবে। খালেদা জিয়া ও বিএনপির সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পর্ক রয়েছে, যেভাবে সম্পর্ক ছিলো শায়খ রহমান, বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘কারা জঙ্গিবাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, তাদের চিহ্নিত করছি। আমাদের সহযোগিতা করুন, এদেশে কোনো জঙ্গি থাকবে না’।
জঙ্গিদের পেছনের দিকে গুলি করা হয়েছে- বিএনপি নেতাদের এ বক্তব্যের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলবো, পুলিশ কি জঙ্গিদের ডেকে বলবে, এই জঙ্গি আমরা কি আপনাদের পেছনে গুলি করবো, না সামনে দিয়ে করবো? আর ততোক্ষণে পুলিশই মারা যাবে। পুলিশ অত্যন্ত ধৈর্য্য ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে। জঙ্গিরা যেভাবে নেমেছে, তাদের ধ্বংস করার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি’।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার ভারত সফরে জঙ্গিবাদ দমনে সে দেশের সহযোগিতার আশ্বাসের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন, মনে করো না, তোমরা একা। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সব সময়ই আছে। জঙ্গি, সন্ত্রাস দমনে ভারত সব সময়ই পাশে থাকবে। আমরা একসঙ্গে সন্ত্রাস দমনে কাজ করবো’।
আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘বিএনপি নেতারা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে যে বক্তৃতা দিচ্ছেন, তাতে প্রমাণ হয়, এই জঙ্গিদের সঙ্গে তারাও জড়িত। এতে প্রমাণ হয় খালেদা জিয়া ও বিএনপি জঙ্গিবাদের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত’।
যৌথসভায় খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। জঙ্গিবাদ দমন করলে হবে না, জঙ্গিবাদ নির্মূল করতে হবে। যারা জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালাচ্ছে, তাদেরকে নির্মূল করতে হবে। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে, এটাই জঙ্গিবাদ নির্মূলের নিয়ম। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ নির্মূলে পৃথিবীর সব দেশেই এ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। পুলিশ সেটাই করছে’।
‘যারা পুলিশের অভিযানের সমালোচনা করছেন, তারা জঙ্গিদের পক্ষ নিচ্ছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে’।
কামরুল বলেন, ‘এই জঙ্গিদের মুল টার্গেট শেখ হাসিনা। তারা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। আমাদের প্রত্যেককে অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে। শেখ হাসিনা বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে’।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে যৌথসভায় আরও বক্তব্য দেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘন্টা, জুলাই ৩০, ২০১৬
এসকে/এএসআর