ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

খুলনায় আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ জন

মাহবুবুর রহমান মুন্না, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
খুলনায় আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ জন

খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি।

খুলনা:  খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হলেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি।

 

আওয়ামী লীগের আটজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এখন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের সমর্থন ও মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন।

পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কোনো প্রার্থীর নাম এখনো শোনা যাচ্ছে না।

আগামী ২৮ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে সভা-সমাবেশ ও মতবিনিময় শুরু করেছেন। পাশাপাশি পুরোদমে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। যাচ্ছেন ভোটারদের পারিবারিক আচার-অনুষ্ঠানেও।

এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করেছে দলটি। সে লক্ষ্যে অনেকেই আবেদন প্রস্তুত করছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন- খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সোহরাব আলী সানা,  জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরফুদ্দীন বিশ্বাস বাচ্চু. খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম, দাকোপ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল আলম খান এবং যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নুরুল ইসলাম বাদশা।

খুলনা জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, ‘আশা করছি, দল আমার বিগত দিনের কাজের মূল্যায়ন করে আমাকে আবার মনোনয়ন দেবে। আমি বিশ্বাস করি, তৃণমূল পর্যায়ের সব সমর্থন আমার রয়েছে’।

বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) খুলনা জেলা সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ‘অবশ্যই আমি প্রার্থী হতে চাই। দল যদি মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি নির্বাচন করবো’।

খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তেরখাদা উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান সরফুদ্দীন বিশ্বাস বাচ্চু বলেন, ‘জনগণের জন্য রাজনীতি করি। সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো’।

চেয়ারম্যান পদের পাশাপাশি সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদের জন্যও দলের জেলা ও মহানগর নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন ক্ষমতাসীন দলের অনেকেই।

আইন অনুসারে খুলনার নয় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা, ৬৮ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি মেম্বাররা, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কাউন্সিলররা এবং দু’টি পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা জেলা পরিষদের ভোটার হিসেবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬

এমআরএম/এএটি/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।