ঢাকা, সোমবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৭ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

‘এটি বিএনপির সঙ্গে কুৎসিত রসিকতা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
‘এটি বিএনপির সঙ্গে কুৎসিত রসিকতা’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কুৎসিত রসিকতা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

ঢাকা: সমাবেশের অনুমতি নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কুৎসিত রসিকতা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
 
শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ওলামাদল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।  
 
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দুপুর ১টায় অনুমতি দিয়ে ২৭টি শর্ত সাপেক্ষে বিকেল ৪টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে বলা হয়েছে। তাও আবার আমরা যেখানে চেয়েছি সেখানে নয়। আমরা চাইলাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টন। তারা অনুমিত দিল ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটউশন মিলনায়তনে। এটি বিএনপির সঙ্গে এক ধরনের কুৎসিত রসিকতা!
 
কী মনে করেন তারা? বাংলাদেশের জনগণ তাদের এ আচরণ খুব পছন্দ করল? এটি গণতান্ত্রিক আচরণ হলো? কিন্তু এর মধ্য দিয়েই আমাদের কাজ করতে হবে-বলেন তিনি।  
 
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৭ নভেম্বর সংগঠিত হয়নি উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ৬ নভেম্বর দিবাগত রাতে ৭ নভেম্বর সংগঠিত হয়। তখন জিয়াউর রহমান গৃহবন্দি ছিলেন। অর্থাৎ ৭ নভেম্বর জিয়াউর রহমান সংগঠিত করেছেন, অথবা তার নেতৃত্বে সংগঠিত হয়েছে- এ কথা সঠিক নয়।


সাত নভেম্বর ঘটনার জন্য জিয়াউর রহমানকে অভিযুক্ত করা যায় না দাবি করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৭ নভেম্বরের প্রোডাক্ট। ৭ নভেম্বর যারা সংগঠিত করলেন, সেই সাধারণ বীর সিপাহীরা তাদের বিশ্বস্ত, শ্রদ্ধেয় এবং তাদের বিবেচনায় যোগ্য জিয়াউর রহমানে তারা সামনে নিয়ে আসেন।  
 
নজরুল ইসলাম খান বলেন, সেই সময় কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। কে যে রাষ্ট্রপতি, কে কি মন্ত্রী, তার কোনো খবর ছিল না। কারণ, তার তিন/চার দিন আগে আরেকটি ক্যু হয়েছে। ১৫ আগস্টের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের বিদেশে চলে যেতে দেওয়া হয়েছে এবং জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। জিয়াউর রহমান তখন গৃহবন্দি ছিলেন।
 
এ রকম একটা পরিস্থিতিতে যে কারো পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া খুবই কঠিন ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, ইচ্ছা করলেই জিয়াউর রহমান দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারতেন। বলতে পারতেন, আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেনাবাহিনী থেকে। আমি এখন আর দায়িত্ব নেব না। তোমরা যা পার কর, আমি এর মধ্যে নেই।
 
কিন্তু দায়িত্ব এড়ানোর মতো মানুষ জিয়াউর রহমান ছিলেন না। ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে যেমন এই বাংলাদেশের বহু সেনা-কর্মকর্তা যেটা করেননি, জিয়াউর রহমান সেটা করেছেন। উনি বলেছেন, আমরা বিদ্রোহ করলাম এবং কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন- বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য।  
 
নজরুল ইসলাম খান আরও বলেন, জিয়াউর রহমান জানতেন না ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে কী ঘটেছে। জাসদের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার সদস্যরা মিছিল দিচ্ছেন, সিপাহী জনতা ভাই ভাই, অফিসারদের মাথা চাই। এরই মধ্যে একজন নারী মেজরসহ ১৮ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাকিরা পালায়ে চলে গেছে। কেউ আত্মগোপন করেছেন। ওই রকম একটা পরিস্থিতিতে জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নিয়েছেন। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেনে। সেদিন যদি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব না নিতেন, আজ বাংলাদেশ থাকত কী থাকত না, তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তোলা যায়।  
 
ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মওলানা আব্দুল মালেকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী সদস্য আবু নাছের মুহম্মদ রহমতউল্লাহ, ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শাহ নেছারুল হক প্রমুখ।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।