ঢাকা, রবিবার, ১৭ ভাদ্র ১৪৩১, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ সফর ১৪৪৬

রাজনীতি

ভাসানীর ‘খামোশ’ শব্দটি দরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
ভাসানীর ‘খামোশ’ শব্দটি দরকার ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ শব্দটি বড় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

ঢাকা: বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ‘খামোশ’ শব্দটি বড় প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
 
বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি গঠিত ‘মাওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপকমিটি’ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
 
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশের সব মানুষই এখন জানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে কী ঘটেছিল। সেখানে স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করা হয়েছে। অথচ গত রাতে স্থানীয় বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, শুধু নাসিরনগরে নয়, সারা দেশে যে ঘটনা ঘটছে, তার প্রত্যেকটার পেছনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত রয়েছে। অথচ এসব ঘটনা থেকে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এর দায় বিরোধী দলের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমনি একটা সময়ে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সেই ‘খামোশ’ শব্দটি খুব প্রয়োজন ছিল।
 
কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য; মাওলানা ভাসানী আজ আমাদের মধ্যে নেই। বর্তমানের যে রাজনীতি এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট, সেখানে মাওলানা ভাসানীর জীবন, রাজনীতি-সব কিছু থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ভাসানী সুখী সমৃদ্ধ একটি দেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি কৃষক-শ্রমিক ও মেহনতী মানুষের মুক্তি চেয়েছিলেন। আজকের বাংলাদেশে এগুলোর অভাব-বলেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
 
ভাসানী ও জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও উদ্দেশ্য ছিল এক ও অভিন্ন মন্তব্য করে ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আধিপাত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান যখন বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, মুক্তবাজার অর্থনীতির দ্বার খুলে বাংলাদেশকে একটা মজবুত অর্থনৈতিক ভিতের উপর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে রাষ্ট্রীয় সংবিধানে বিসমিল্লাহ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন, তখন মাওলানা ভাসানী জিয়াউর রহমানকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিলেন। তাই আজ শ্রদ্ধার সঙ্গে আমরা তাকে স্মরণ করি এবং দেশের ও মানুষের স্বার্থে তার যে চিন্তা-চেতনা ও আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করি।
 
ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপ কমিটির সদস্য সচিব শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, ছড়াকার আবু সালেহ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আযাদ, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক তকদির হোসেন জসিম, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মওলানা আব্দুল মালেক, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।