ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইতিবাচকভাবে জনগণকে সংগঠিত করতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৬
ইতিবাচকভাবে জনগণকে সংগঠিত করতে হবে

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতে ইতিবাচকভাবে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

ঢাকা: বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতে ইতিবাচকভাবে জনগণকে সংগঠিত করার চেষ্টা করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
 
রোববার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।


 
নবম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি আলোচনা সভার আয়োজন করে।
 
নজরুল ইসলাম খান বলেন, জনগণের কাছে আমাদের যেতে হবে। কারণ, জনগণ কী চায়-এটা সরকার ভালো করে বোঝে বলে তারা নানা কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু সেটা একটা নেতিবাচক দিক। আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে ইতিবাচকভাবে জনগণকে সংগঠিত করার।
 
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রস্তাবকে অন্তঃসারশূন্য হিসেবে আখ্যায়িত করে আলোচনার সম্ভাবনাকে নাকোচ করায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সমালোচনা করেন তিনি।
 
নজরুল ইসলাম খান বলেন, মূল কথা হলো, তারা আলোচনায় বসতে চায় না। আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি। সেই প্রস্তাবে যদি কোনো ভুল থাকে আপনারা বলেন। কোনো দুর্বলতা থাকলে আপনারা বলেন। এর চেয়ে কোনো ভালো প্রস্তাব থাকলে সেটি বলেন। কিন্তু তাদের বক্তব্য হলো- নির্বাচন কমিশন যা আছে ঠিক আছে। আর দেশবাসী বলছে, যা আছে ঠিক নেই। এ নির্বাচন কমিশন ঠিক না।
 
এ ধরনের নির্বাচন কমিশন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, বরং দুর্বল করে। কিন্তু তারা জানে, এ রকম নির্বাচন কমিশন না হলে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। অতএব তারা নির্বাচন কমিশন এ রকমই রাখতে চায়।
 
বিএনপির সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে উল্লেখ করে দলটির এই নীতিনির্ধারক বলেন,  তারা জনগণকে এতো ভয় পায় যে, শতকরা প্রায় ৫২ ভাগ লোককে ভোট দেওয়ারই সুযোগ দেয় নাই। ১৫৩ জন সংসদ সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য জনগণের ভোটে নির্বাচিত হননি। তারা ফের ওই রকমই একটা নির্বাচন করতে চায়। যেখানে প্রশাসন তাদের অধীন। নির্বাচন কমিশন তাদের সহায়ক। আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় হয়েছে, বার বার এ রকম খেলার সুযোগ তাদের দেবো কি না?
 
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মোহম্মদ রহতম উল্লাহ প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৬
এজেড/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।